অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার জানিয়েছেন, দিল্লিতে গায়ক জুবিন গর্গের মরদেহ গ্রহণ করে তিনি নিজেই তা গুয়াহাটিতে নিয়ে আসবেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিশেষ বিমানে জুবিনের দেহ গুয়াহাটি আনা হবে। রবিবার ভোর ৬টার মধ্যে মরদেহ পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার রাতেই সিঙ্গাপুর থেকে মরদেহ দিল্লি পৌঁছবে।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন— “আজ দিল্লি যাচ্ছি আমাদের প্রিয় জুবিনের মরদেহ গ্রহণ করতে। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে মরদেহ সঙ্গে নিয়ে আসব গুয়াহাটি, আশা করি রবিবার ভোরে পৌঁছে যাব।”
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং-এর সময় মৃত্যু হয় জুবিন গর্গের। এরপর তাঁর দেহ ভারতের হাই কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গুয়াহাটির সারুসাজাই স্টেডিয়ামে রাখা হবে মরদেহ, যাতে সাধারণ মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। তবে এর আগে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কাহিলিপাড়ার বাসভবনে। সেখানে পরিবারের সদস্যরা থাকবেন, সাধারণ মানুষকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন, “কাহিলিপাড়ায় মরদেহ পৌঁছলে কেউ যেন ভিড় না করেন। তাঁর পিতা অসুস্থ ও বৃদ্ধ। শেষবারের মতো ছেলে’র মরদেহের সঙ্গে কিছু সময় কাটানো খুবই জরুরি।”
জোড়হাটের একাধিক সংগঠন দাবি জানিয়েছে, শিল্পীর শেষকৃত্য সেখানেই হোক এবং একটি স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলা হোক। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের কোনও একতরফা সিদ্ধান্ত হবে না। প্রথমে পরিবারের ইচ্ছাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। এরপর সাহিত্য সভা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই লক্ষ্যে শিক্ষামন্ত্রী রণোজ পেগু ও সংস্কৃতিমন্ত্রী বিমল বরা-কে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবারই অসম সরকার তিন দিনের রাজ্য শোক ঘোষণা করেছে। মুখ্যসচিব রবি কোটা এক্স-এ পোস্ট করে জানান, ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শোক পালন করা হবে। এই সময়ে কোনও সরকারি অনুষ্ঠান, ভোজ বা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হবে না। তবে স্বাস্থ্য শিবির, টিবি রোগীদের সহায়তা, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি সেবামূলক কর্মসূচি চালু থাকবে।