তাঁর ক্যাপ্টেন সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তান এখন আর কোনও লড়াই-ই নয়’। আর তিনি তার আগে মাঠে বলে এসেছেন, ‘অকারণে বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি করছিল, ব্যাট হাতে সেটার জবাব দিয়েছি।’ দুবাইতে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানকে দুরমুশ করে সঞ্চালিকার প্রশ্নের সোজাসাপটা জবার দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার ওপেনার অভিষেক শর্মা। বলেছেন “The way they were coming at us for no reason, I didn’t like it at all and this is the only way I could give medicine to them”.
পাকিস্তানের ৭ উইকেটে ১৭১ রানের জবাবে ভারতের ইনিংস শুরু হওয়ার কিছু পরেই ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল টুকরো টুকরো কিছু দৃশ্য। বোলার শাহিন আফ্রিদির দিকে এগিয়ে গিয়ে কিছু বলেছেন শুভমন গিল। কিছু পরেই আবার অন্য এক দৃশ্য। এ বার বোলার হ্যারিস রউফকে সংযত করার চেষ্টা আম্পায়ারের, কিছু দূরে দাঁড়িয়ে শুভমন-অভিষেক। তখন ঠিক কী কী ঘটেছে তা স্পষ্ট বোঝা যায়নি কী হয়েছে। তবে বিষয়টি যে গুরুতর ছিল এটা ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনায় বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক।
ফিল্ডিং- এর সময় সাহিবজাদা ফারহানের ক্যাচ ফেলেছেন। ম্যাচের তৃতীয় বলেই এসেছিল পাকিস্তানের প্রথম উইকেট তুলে নেওয়ার সহজ সুযোগ। বোলার হার্দিক পাণ্ডিয়ার ভরসা ছিল থার্ড ম্যানে থাকা দক্ষ ফিল্ডার অভিষেক শর্মার উপর। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়েও ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি অভিষেক। তবে ফিল্ডিং এর সেই ভুল ব্যাট হাতে শোধ করার চেষ্টা চালিয়েছেন দুবাইতে। ৩৯ বলে করেছেন ঝকঝকে ৭৪ রান। সতীর্থ ওপেনার শুভমন গিলের সঙ্গে প্রথম উইকেট জুটিতে উঠেছে ১০৫ রান।
সতীর্থ শুভমন গিলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ব্যাটিং করা যে বেশ উপভোগ করেন তাও বলেছেন অভিষেক। জানান, সেই বয়ভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই তাঁদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক। বলেন, “আমরা স্কুল জীবন থেকেই খেলছি, একে অপরের সঙ্গও উপভোগ করি। পরিকল্পনা ছিল দুবাইতেও আমরা এটি করব এবং পরে কিছুটা বাস্তবেও রূপ দিতে পেরেছি। তাছাড়া গিল যেভাবে রিপ্লাই দিচ্ছিল, সেটা সত্যিই উপভোগ করেছি। দলের জন্য কিছু করতে কঠোর অনুশীলনও করছি,”।
ভারতের ওপেনিং জুটির নিখুঁত ইনিংসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তাদের ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব। তিনি বলেন,
“ওরা (অভিষেক এবং শুভমন) সত্যিই একে অপরের পরিপূরক। অনেকটা আগুন আর বরফের মিশ্রণের মতো,”। পাকিস্তানের ইনিংসে প্রথম ১০ ওভারে ৯ রানেরও বেশি হওয়ার পরেও, দল যেভাবে লড়াই করেছে তা দেখে খুশি হয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন। বলেছেন,”প্রতিটি খেলায় ছেলেরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমার কাজ খুব সহজ হয়ে যাচ্ছে। ওরা ম্যাচ অনুযায়ী নিজেদের সেরা খেলাটা দেখিয়েছে। প্রথম ১০ ওভারের পরও তারা শান্ত ছিল। পানীয়ের পর, আমি ওদের বলেছি আসল খেলা কিন্তু এখন শুরু হচ্ছে,”।
অন্যদিকে গ্রুপ লিগের ম্যাচ এবূং প্রি ম্যাচ প্রেস কনফারেন্স বয়কট করলেও পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আঘা সুপার ফোরের ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। জানান, পাওয়ার প্লে বিভাগে ভারত যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তাতেই ম্যাচের রেজাল্ট পাল্টে যায় ।
“আমরা এখনও নিখুঁত খেলা খেলতে পারিনি, কিন্তু সেখানে পৌঁছেছি সেখান থেকেও দুর্দান্ত ফলের প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু পাওয়ার প্লেতে ওরা আমাদের কাছ থেকে গোটা ম্যাচটাই কেড়ে নিয়েছে।”
পাক অধিনায়ক আরও বলেন, “১০ ওভারের পর আমরা যেখানে ছিলাম, তা দেখে আমরা যদি আরও ১০-১৫ রান করতে পারতাম, তাহলে হয়তো ভাল লড়াই হতো। তবে ১৭১ রান কিন্তু ভাল স্কোর। বিপক্ষ দল, পাওয়ার প্লেতে ভালো ব্যাটিং করেছে। আর এটাই ছিল দু-দলের পার্থক্য,”।