২২ গজের উত্তাপ এ বার ছড়াল ফুটবল মাঠেও। রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তান হেরে গেলেও বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি করে নেটিজেনদের রোষানলে পড়েছেন দলের জোরে বোলার হারিস রউফ। অন্যদিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে হাফ সেঞ্চুরি করে ব্যাটকে বন্দুকের মতো উঁচিয়ে বিতর্কিত উদযাপন করেন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানও। এই দুই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে এ বার দেখা গেল অনূর্ধ্ব ১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও।
রবিবারই বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কলম্বোতে একই ধরণের আচরণ করতে দেখা গেল পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল দলের স্ট্রাইকার মুহাম্মদ আবদুল্লাহকে। রবিবাসরীয় দুবাইয়ে এক দিকে যেমন অর্ধশতরানের পর ব্যাটকে বন্দুকের মতো উঁচিয়ে AK 47 সেলিব্রেশন করেছিলেন ফারহান, তেমনিই অন্যদিকে ফিল্ডিং করার সময় হাত দিয়ে ৬-০ ব্যবধানে জয়ের ইঙ্গিত দেন রউফ।
বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করছিলেন পাক পেসার। এ সময় বেশ কয়েকজন ভারতীয় সমর্থক গত ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির জোড়া ছক্কার কথা মনে করিয়ে দিয়ে ব্যঙ্গ করেন তাঁকে। ফলে স্বভাবতই মেজাজ হারান রউফ। হাত দিয়ে ৬ সংখ্যাটি ইঙ্গিত করেন তিনি। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের দাবি ছিল, ভারতীয় সেনার ৬ টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে তারা। দু’হাতের ছয় আঙুল দেখিয়ে এ দিন সেই ইঙ্গিতই করেন রউফ।
সোমবার সাফ অনূর্ধ্ব ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয়ে একই ইঙ্গিত করতে দেখা গেল রউফের স্বদেশি মুহাম্মদ আবদুল্লাহকে। যদিও খেলার ফলাফল ছিল রবিবারের মতই। পাকিস্তানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে ভারত। এর আগে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ৬-০ এবং ভুটানের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জিতেছিল তারা। এ বার বৃহস্পতিবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে সামনে বাংলাদেশ।
দল হারলেও অবশ্য এ দিন গোল করেছেন আব্দুল্লাহ। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের টপকে যেতে পারেনি তাঁর দল। এ দিকে রবিবাসরীয় দুবাইয়ে হারিস রউফ বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি দেখানোর পর সামাজিক মাধ্যমে আগুনে ঘি ঢেলেছেন তাঁর স্ত্রীও। ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, “খেলা হেরেছি, কিন্তু যুদ্ধ জিতেছি।”
