দুর্গাপুজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত অসমের ধুবড়িতে ‘শুট অ্যাট সাইট’-এর নির্দেশিকা বজায় থাকবে। শারদোৎসবের দোরগোড়ায় ফের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার। গত ১৩ জুন থেকে রাতের বেলায় ধুবড়িতে জারি রয়েছে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ। সীমান্তবর্তী জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরপরই জারি করা হয়েছিল কড়া নির্দেশিকা। শান্তি বিঘ্নিত হওয়া রোধ করার লক্ষ্যেই বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলায় এমন পদক্ষেপ অসম প্রশাসনের।
ধুবড়ির বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত হলেও অসমের মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন। বলেছেন, “দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়নি এবং দুর্গাপুজোর সময়ও তা অব্যাহত থাকবে। ধুবড়িতে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টাকারী যে কেউ থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। অসম মুখ্যমন্ত্রীর সোজাসাপটা বক্তব্য, ধুবড়ির সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়কে উগ্রপন্থী হুমকি থেকে রক্ষা করা তার সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
আসলে অসমের ওই বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা জেলাতে হিন্দুরাই সংখ্যালঘু। ধুবড়ি জেলার প্রায় ৭৪ শতাংশ বাসিন্দা মুসলিম। গত জুন মাসে বকরি ইদের(ইদুজ্জোহা) পর থেকেই গোটা ধুবড়ি সাম্প্রদায়িক হিংসায় জ্বলছে। ওই সময় ধুবড়ি শহরের এক হনুমান মন্দিরে পরপর দু’দিন গরুর খুলি ও গোমাংস রাখার অভিযোগ ওঠে। যাকে ঘিরেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। দুই সম্প্রদায়ের নেতাদের শান্তির আহ্বান সত্ত্বেও হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ধুবড়ি জুড়ে।
অসম প্রশাসন কড়া হাতে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। কমবেশি ১৫০ জনেরও বেশি অশান্তি সৃষ্টিকারী অভিযুক্তকে আটক করা হয়। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে। পুজোর মুখে প্রশাসনের সেই শূন্য-সহনশীলতার নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, দুর্গাপুজোর সময় গোটা জেলায় কড়া নজরদারি চালানো হবে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের রক্ষার্থে প্রশাসন সবরকম পদক্ষেপ করবে। যে কোনওরকম সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে সরকার বদ্ধপরিকর।
