জমা জলে দুর্ভোগ আর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের এক্স হ্যান্ডল-এ সরাসরি আঙুল তুললেন মেয়রের দিকে। শুভেন্দু লিখেছেন, “জলমগ্ন শহরে মৃত্যুর মিছিল! মৃতদেহ ভাসছে জমা জলে। সকাল সকাল এই দৃশ্য দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এই দুর্দশার জন্য দায় কার?”
এরপরই কলকাতা ও বিধাননগর পুরসভার দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, “এক রাতের বৃষ্টিতেই কলকাতা-সল্টলেক জলমগ্ন! ভাসছে শহর, বিপন্ন শহরবাসী, চরম দুর্ভোগ অফিসযাত্রীদের। আজকের দিনে যখন প্রযুক্তি এত উন্নত যে কখন বৃষ্টি হবে, কত পরিমাণে হবে তার আভাস আগেই পাওয়া যায় তখন কলকাতা ও বিধাননগরের মেয়রদের অদক্ষতা আর উদাসীনতার ফল শহরবাসীকে ভোগ করতে হয়। এরা পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে কোনও শিক্ষা নেননি, বারবার একই চিত্র বছরের পর বছর!”
পাশাপাশি বিদ্যুৎ দফতরকেও এক হাত নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি লিখেছেন, “বিদ্যুৎ দফতরের দোষ তো একেবারে মারাত্মক। আধিকারিকরা কোথায় ? খোলা তারের এই বিপদের ব্যাপারে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ? এখন অবধি সাত জন নিরীহ মানুষ মারা গেছেন। এটা আপনাদের ব্যর্থতা নয়, এটা অপরাধ, দোষ কার তা নির্ধারণ করে উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।”
বছরের পর বছর ধরে এই অব্যবস্থাপনায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। আর কতদিন এই অরাজকতা চলবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর।
জবাবে তৃণমূলের মুখপাত্র ও মন্ত্রী শশী পাঁজা পাল্টা আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, “কলকাতায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে। রাজ্য সরকার ও পুরসভার পক্ষ থেকে প্রত্যেকে রাস্তায় রয়েছে, মানুষের কষ্ট দূর করার চেষ্টা করছে। মানুষের মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। এই সবটা নিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি তদ্বির করছেন।”
বিজেপিকে আক্রমণ করে শশী বলেন, “এই দুর্যোগের পরিস্থিতিতে থাকে সমবেদনা, সহানুভূতি, যা নেই বিজেপির। এই সময়েও তারা ন্যক্কারজনক রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। দিল্লি-গুরগাঁওতে বৃষ্টির সময় যে পরিস্থিতি হয়েছিল, সেখানে তো বিজেপির সরকার। তখন তো তারা আঁতকে ওঠেনি। তখন তো তাদের মুখ বন্ধ থাকে। আর এখানে যখন মানুষের পাশে থাকতে হয়, তখন তারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করছে। আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি।”