দীর্ঘ চার মাসের লড়াই। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে বড় জয়। রায়গঞ্জ নয়, আরজি করেই পোস্টিং দিতে হবে অনিকেত মাহাতোকে। চিকিত্সকদের বদলি মামলায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিচারপতি। অভয়া আন্দোলন নতুন রূপ পেল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাঁর পোস্টিং নিয়ে টালবাহানা চালাচ্ছিল রাজ্য সরকার বলে জাজবাত চব্বিশ বাংলাকে ফোনে জানালেন অভয়া আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিকিত্সক অনিকেত মাহাতো। বিচার ব্যবস্থা, সাধারণ মানুষ, সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনিকেত। জাজবাত চব্বিশ বাংলাকে অনিকেত জানিয়েছেন, তাঁদের আন্দোলন চলবে। জোর করে সেই আন্দোলন কেউ দমিয়ে দিতে পারবে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ তাঁদের আন্দোলন আটকাতে চাইলে, তারা সফল হবে না। তাঁকে রায়গঞ্জে পোস্টিং দেওয়াটাও পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জাজবাত চব্বিশ বাংলাকে স্পষ্ট জানিয়েছেন অনিকেত।
জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো আদালতে জানান, পোস্টিং কোথায় চান, সকলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। একমাত্র তিনি ও আর ২ জনকে সেই পছন্দের জায়গা দেওয়া হয়নি। বাকিরা নিজেদের পছন্দমতো পোস্টিং পেয়েছে। সেই বদলি বিতর্ক মামলায় এদিন বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁকে তাঁর পছন্দের পোস্টিংই দিতে হবে। বুধবার এই নির্দেশ দিল হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি এদিন বলেন, অনিকেতকে রায়গঞ্জে বদলি রাজ্যের সিরিয়াস ভুল। রাজ্যের নোটিফিকেশন খারিজ করল হাইকোর্ট। রায়গঞ্জে যাওয়ার নোটিস বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। তিনি নির্দেশ দিলেন, আরজি করেই পোস্টিং দিতে হবে অনিকেতকে।
এদিন বিচারপতি বলেন, “এটা খুব লজিক্যাল বিষয় যে প্রার্থীর মেধার ভিত্তিতেই তাঁর পোস্টিং হবে। অন্যদের তুলনায় উচ্চ মেধার প্রার্থীর ক্ষেত্রে প্রতিটি কলেজ, প্রতিষ্ঠানকে ওই প্রার্থীদের পছন্দের জায়গা নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। রাজ্য মেধার ভিত্তিতে নিয়োগে সদিচ্ছা প্রকাশ করেনি। শীর্ষ আদালতের রায় এই মামলায় প্রতিফলিত হয়নি রাজ্যের আচরণে।”
রাজ্যের তরফে আইনজীবী নিজের সওয়ালে বলেন, স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অনিকেতের র্যাঙ্ক হল ২৪। আরজি করেই মেধার ভিত্তিতে কাজ করতে দিতে হবে, এটা তিনি কী করে দাবি করতে পারেন? দুই পক্ষের সওয়াল শোনার পর এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দিলেন, আরজি করেই পোস্টিং দিতে হবে অনিকেত মাহাতোকে।