রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে (UNHRC) পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল ভারত। মঙ্গলবার জেনেভায় পরিষদের ৬০তম অধিবেশনে ভারতীয় কূটনীতিক ক্ষিতিজ ত্যাগী বলেন, “পাকিস্তান একদিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চকে অপব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনছে, অন্যদিকে নিজেদের জনগণকেই বোমা মেরে হত্যা করছে।”
ত্যাগী বলেন, “আমাদের ভূখণ্ড দখলের লোভ করার বদলে পাকিস্তান বরং অবৈধভাবে দখল করা ভারতীয় জমি খালি করুক। তাদের উচিত অর্থনীতি বাঁচানো, যা বর্তমানে ‘লাইফ সাপোর্ট’-এ রয়েছে এবং সামরিক শাসনে স্তব্ধ রাজনীতি এবং নিপীড়নে কলঙ্কিত মানবাধিকারের দৃষ্টান্ত নিয়ে চিন্তা করা। হয়ত একদিন তারা সন্ত্রাস রফতানি ও রাষ্ট্রসঙ্ঘ কর্তৃক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া থেকে বিরত হতে পারবে।”
ভারতের এই তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে একদিন পর, যখন পাকিস্তানি বিমানবাহিনী নিজেদের জনগণের উপরেই বোমা হামলা চালায়। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তিরাহ ভ্যালির মাতরে দারা গ্রামে সোমবার ভোররাতে পাক বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণে অন্তত ৩০ জন গ্রামবাসী নিহত হন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল।
পাক বিমানবাহিনী চিনে তৈরি জে-১৭ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে আটটি এলএস-৬ লেজার-গাইডেড বোমা ফেলে। ওই সময় গ্রামের মানুষ ঘুমিয়ে ছিল।
এই হত্যাযজ্ঞে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার বাড়বাড়ন্তে আগে থেকেই আতঙ্কে থাকা ওই এলাকায় গত সপ্তাহে সুয়াত ভ্যালির মিনগোরা শহরে হাজারো মানুষ শান্তি ফেরানোর দাবিতে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন।
খাইবার পাখতুনখোয়া, পাকিস্তানের এই দুর্গম ও পার্বত্য অঞ্চলটি বহু দশক ধরেই সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এলাকাটি বহু বছর ধরেই পাক-সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্যতম বড় যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।