এমনিতেই তাঁর নিরাপত্তায় মাছি গলার উপায় নেই। বিন্দুমাত্র স্বাছন্দ্যের ঘাটতি হলে হাজির হন ২৪ ঘণ্টার নজরদার কর্মীরা। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সেই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কিনা রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভাষণ দিতে উঠতে হল সিঁড়ি ভেঙে। এই খবর চাউর হতেই জল্পনা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। প্রশ্ন উঠেছে, সব যখন ঠিকঠাক চলছিল তখন সস্ত্রীক ট্রাম্প যেতেই কেন বন্ধ হয়ে গেল চলমান সিঁড়ি বা এসকালেটর?
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার, ট্রাম্পের রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার ঠিক আগে। ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এসকালেটরে উঠতেই এটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে দুজনকেই হেঁটে ওপরে উঠতে হয়। ঘটনার পরই হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্স–এ পোস্ট করে লেখেন, যদি কোনও রাষ্ট্রসঙ্ঘের কর্মী ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাম্পের এসকালেটর বন্ধ করে থাকে তবে তাকে তৎক্ষণাৎ বরখাস্ত করে তদন্ত করতে হবে। তিনি ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য টাইমস’-এর এক রিপোর্টের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন, যেখানে বলা হয়েছিল ইউনাইটেড নেশনস-এর কর্মীরা নাকি মজা করে ট্রাম্পকে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে বাধ্য করতে এসকালেটর ও লিফট বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছিল। যদিও ট্রাম্প নিজে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাজের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হলেও এই বিষয়টি নিয়ে রসিকতাই করেছেন। ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে আমি পেয়েছি একটি খারাপ এসকালেটর আর একটি খারাপ টেলিপ্রম্পটার।”
তিনি আরও বলেন, “যদি ফার্স্ট লেডির শরীর ভাল না থাকত তবে তিনি পড়ে যেতেন, কিন্তু তিনি খুব ফিট।” এই মন্তব্যে শ্রোতারা হাসিতে ফেটে পড়েন। যদিও এর পরেই তদন্তে নেমে ইউনাইটেড নেশনস-এর সদর দফতরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসারেরা জানতে পারেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওঠার পর এসকালেটর হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়াটা ইচ্ছাকৃত নয়, বরং যান্ত্রিক সুরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার ফল। এই নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক বলেন যে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ট্রাম্পের ডেলিগেশনের এক ভিডিয়োগ্রাফার, যিনি প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির আগে এসকালেটরে উঠেছিলেন, সম্ভবত অসাবধানতাবশত সেফটি মেকানিজম চালু করে দেন। আর তাতেই বন্ধ হয়ে যায় চলমান সিঁড়িটি।