লিবিয়ার প্রাক্তন শাসক মুয়াম্মার আল গদ্দাফির কাছ থেকে ৫০ মিলিয়ন ইউরো ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির বিচার শুরু হয়েছিল আগেই। এবার সেই মামলায় জেলে যেতে হচ্ছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার প্যারিসের একটি আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। আদালত জানিয়েছে, তিনি লিবিয়ার সঙ্গে অবৈধ নির্বাচনী অর্থ সংগ্রহের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।
অভিযোগ ছিল, তিনি গাদ্দাফির সঙ্গে চুক্তি করে তার প্রচারাভিযানের জন্য অর্থ নিয়েছিলেন, বিনিময়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেসময়ের লিবিয়া সরকারকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেন।যদিও সারকোজি বরাবরই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।সারকোজি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে ‘প্রসিকিউটরদের কল্পনাপ্রসূত’ বলে আখ্যা দেন।
মজার বিষয় হল ২০০৭ সালে সারকোজি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি প্যারিসে গাদ্দাফিকে আড়ম্বরপূর্ণভাবে স্বাগত জানান। কিন্তু এর কয়েক বছর পর ২০১১ সালে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং বারাক ওবামার সঙ্গে গাদ্দাফির শাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সামরিক পদক্ষেপের নেতৃত্ব দেন সেই সারকোজিই। পরে স্বৈরশাসক গাদ্দাফির পতন করা হয় এবং তাকে হত্যা করা হয়।
বিচারক যদিও অন্যান্য অভিযোগ, যেমন দুর্নীতির অভিযোগ থেকে সারকোজিকে মুক্তি দিয়েছেন।তবে এই রায় অনুযায়ী, আপিল করলেও বা না করলেও সারকোজিকে কারাগারে যেতেই হবে। আদালত তাকে ১ লক্ষ ইউরো জরিমানাও করেছে।
Leave a comment
Leave a comment