ভারতের উপর মাত্রাছাড়া ট্যারিফ চাপানোর জেরে দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রায় তলানিতে চলে গেলেও খুব শিগগিরই হতে চলেছে মোদি ও ট্রাম্পের বৈঠক। বৃহস্পতিবার মার্কিন বিদেশ দফতরের এক সিনিয়র কর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানান যে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক তাঁদের ‘এজেন্ডায় রয়েছে’। যদিও চূড়ান্ত তারিখ ও স্থান এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি জানান যে আমি নিশ্চিত, আপনারা তাদের বৈঠক হতে দেখবেন। তাদের সম্পর্ক খুবই ইতিবাচক।
মোদি ও ট্রাম্প শেষবার ফেব্রুয়ারিতে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে তারা বাণিজ্য, জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ভিসা নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জেরে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের আমদানির উপর সবমিলিয়ে ৫০% শুল্ক আরোপ করেছেন। দুদেশের বাণিজ্যে ধাক্কা লাগার শঙ্কায় আরও কাছাকাছি এসেছে দিল্লি, বেজিং ও মস্কো।
মোদি ও ট্রাম্পের বৈঠকের বিষয়টি এমন সময়ে সামনে এসেছে যখন ট্রাম্প কিছু ইস্যু নিয়ে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে ওয়াশিংটন বারবার আশ্বস্ত করছে যে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কৌশলগত দিক থেকে শক্তিশালী এবং তা এগিয়ে যাচ্ছে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ নিউ ইয়র্কে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিয়োর বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে রাশিয়ান তেলের ইস্যু নিয়েও দুতরফের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
তবে মোদি ও ট্রাম্পের বৈঠকের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তার মাটি প্রস্তুত হতে শুরু করেছে ট্রাম্পের হাত ধরেই। আগেও ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘একজন ভাল বন্ধু’ বলেছেন এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে ‘খুব বিশেষ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। মোদির ৭৫তম জন্মদিনে ট্রাম্পই প্রথম ফোন করে শুভেচ্ছা জানান। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে অসাধারণ কথা হল। আমি তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম। তিনি দুর্দান্ত কাজ করছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে সমর্থনের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানালাম।