অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বুধবার ঘোষণা করেছেন, গায়ক ও সাংস্কৃতিক আইকন জুবিন গর্গের অকালমৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের জন্য রাজ্যের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিজিপি)-কে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভালে যোগ দিতে গিয়ে স্কুবা ডাইভিং বা সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয় জুবিন গর্গের। তাঁর দেহ প্রথমে দিল্লিতে আনা হয় এবং পরে রবিবার সকালে গুয়াহাটিতে নিয়ে আসা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী এক্স-এ লিখেছেন, “আমাদের প্রিয় জুবিন গর্গের অকালমৃত্যুর ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আজ আমি অসম পুলিশের ডিজিপি, অতিরিক্ত ডিজিপি, সিআইডি, মুখ্যসচিব সহ ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমি নির্দেশ দিয়েছি যে অসম পুলিশের সেরা অফিসারদের নিয়ে একটি সিট গঠন করা হোক।”
তিনি আরও জানান, মৃতদেহ থেকে সংগৃহীত ভিসেরা নমুনা দিল্লির সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে বিস্তারিত পরীক্ষার জন্য। সিট সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে এবং পেশাদারি সততার সঙ্গে তদন্ত করবে।
মঙ্গলবার গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এইমস-এর চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে দেহ অর্জুন ভোগেশ্বর বরুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় এবং সেখান থেকে শেষকৃত্যের জন্য পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার কামারকুচিতে জুবিন গর্গের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। হাজার হাজার ভক্ত ও অনুরাগী শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রিয় শিল্পীকে। গর্গের বোন পালমে বরঠাকুর শেষকৃত্যের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেছেন, সিঙ্গাপুরে নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালের প্রধান আয়োজক শ্যামকানু মহন্তকে অসমে কোনও অনুষ্ঠান বা উৎসব আয়োজন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই উৎসবেই আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দিয়েছিলেন জুবিন গর্গ।
একই সঙ্গে, গায়ক জুবিন গর্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং আয়োজক শ্যামকানু মহন্তর বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে। এই সমস্ত মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে।