বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুদিনব্যাপী ম্যারাথন বৈঠক শেষে বিজেপি প্রার্থীদের সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করেছে। দলীয় সূত্রে খবর, ১৫ জনেরও বেশি বর্তমান বিধায়ক এবার টিকিট নাও পেতে পারেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের আনুগত্য, কাজের মূল্যায়ন ও জেতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।
প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে চলা দীর্ঘ বৈঠকে জেলাভিত্তিক প্রতিটি আসনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। আলোচনায় উঠে এসেছে সাংগঠনিক প্রস্তুতি, বুথ স্তরের শক্তি, স্থানীয় ইস্যু, প্রতিষ্ঠানবিরোধী মনোভাব এবং সাম্প্রতিক সরকারি সিদ্ধান্তের প্রভাব। বৈঠকে শুধুমাত্র জেলা সভাপতি ও গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত ছিলেন, টিকিট প্রত্যাশীদের রাখা হয়নি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর বিহার সফরের পর এই জেলাভিত্তিক বৈঠকের মডেল চালু হয়। শাহ রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রার্থী বাছাই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় করতে হবে এবং যোগ্য নামগুলো সংক্ষিপ্ত তালিকা আকারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠাতে হবে।
২০২৪ সালে এনডিএ সরকারের আস্থা ভোটে আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল যেসব বিধায়কের বিরুদ্ধে, তাদের টিকিট কাটা হতে পারে। ৭০ বছরের বেশি বয়সী বা নিষ্ক্রিয় বিধায়কদেরও বাদ পড়ার সম্ভাবনা। ২০২০ সালে অল্প ব্যবধানে জয় পাওয়া বিধায়কেরা ও যাঁরা পরিবারের সদস্যদের টিকিট চাইছেন, তাঁরাও নজরদারিতে। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘পারিবারিক টিকিট হস্তান্তর’ এবার গ্রহণযোগ্য নয়।
বিজেপি এবার প্রায় ১০৩ আসনে প্রার্থী দিতে পারে, যদিও এনডিএ জোটের আসন ভাগাভাগি এখনও আনুষ্ঠানিক হয়নি। বর্তমানে বিজেপির ৮০ জন বিধায়ক আছেন। দল এবার এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে। বিহারের ২৪৩ আসনের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অক্টোবর-নভেম্বরে হওয়ার সম্ভাবনা।