একের পর এক সিদ্ধান্তে যেন পুরনো সব ব্যবস্থাকেই টান মেরে তুলে ফেলে দিতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিভিন্ন দেশের উপর ইচ্ছে মতো ট্যারিফ, ভিসা নীতির পর এবার ওষুধ শিল্পে ১০০% ট্যারিফ চাপাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন, ২০২৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে ব্র্যান্ডেড ও পেটেন্ট করা ওষুধ আমদানির ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। আমেরিকার বাজারের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল ভারতের ওষুধ শিল্প এতে বড় ধাক্কা খাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, “১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে, যে কোনও ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ট করা ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, যদি না সেই কোম্পানি আমেরিকায় তাদের ওষুধ উৎপাদন কারখানা তৈরি করছে।”
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরই ভারতের ওপর তার সম্ভাব্য প্রভাব কী হতে পারে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রফতানির সবচেয়ে বড় বাজার। ফার্মাসিউটিক্যাল এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের মোট ২৭.৯ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ রফতানির মধ্যে ৩১ শতাংশ বা ৮.৭ বিলিয়ন ডলারই গেছে আমেরিকায়। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধেই গেছে আরও ৩.৭ বিলিয়ন ডলারের ফার্মা পণ্য।
তথ্য বলছে, ড. রেড্ডি’স, অরবিন্দ ফার্মা, জাইডাস লাইফসায়েন্সেস, সান ফার্মা ও গ্ল্যান্ড ফার্মার মতো কোম্পানিগুলি তাদের মোট আয়ের ৩০-৫০ শতাংশ আমেরিকা থেকেই আয় করে। ভারত বর্তমানে মার্কিন বাজারে ৪৫ শতাংশ জেনেরিক ওষুধ ও ১৫ শতাংশ বায়োসিমিলার সরবরাহ করে।
তবে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প শুধু ওষুধ শিল্পেই শুল্ক চাপানি, রান্নাঘরের ক্যাবিনেট ও বাথরুম ভ্যানিটিতে ৫০ শতাংশ, আসবাবপত্রে ৩০ শতাংশ এবং ভারী ট্রাকে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন। যদিও কেন এমন শুল্ক, তার কোনও আইনি যুক্তি না দিলেও তাঁর দাবি, এটি জাতীয় নিরাপত্তা ও অন্যান্য কারণে প্রয়োজন ছিল।