লাদাখের পূর্ণরাজ্যের দাবিকে ঘিরে পরিবেশকর্মী ও আন্দোলনকারী সোনম ওয়াংচুক এবং কেন্দ্র সরকারের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক হিংসাত্মক বিক্ষোভে লেহ-তে অন্তত ৪ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হওয়ার পর এই দ্বন্দ্ব আরও গভীর হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ওয়াংচুককে উসকানিমূলক মন্তব্য করে জনতাকে সহিংসতায় প্ররোচিত করার অভিযোগ করেছে। তবে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, গুলির শব্দ শোনা মাত্রই তিনি লাদাখি ও হিন্দি উভয় ভাষায় শান্তির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমি বলেছি— এটা আমাদের পথ নয়, আমাদের পথ শান্তিপূর্ণ। এই সহিংসতা আমাদের আন্দোলনকে ক্ষতি করছে।”
ওয়াংচুকের দাবি, তিনি বক্তব্য রাখার সময়ই বিস্ফোরণের শব্দ হচ্ছিল এবং কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তা বাহিনী নির্মমভাবে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায়।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ওয়াংচুকের প্রতিষ্ঠিত এনজিও ‘স্টুডেন্টস এডুকেশনাল এন্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ’-এর বিদেশি অনুদান গ্রহণের অনুমতি (এফসিআরএ লাইসেন্স) বাতিল করেছে। ওয়াংচুক অভিযোগ নাকচ করে বলেন, “আমরা কোনও বিদেশি অনুদান নিইনি। রাষ্ট্রসহ্ঘ, সুইস বিশ্ববিদ্যালয়, ইতালিয়ান সংস্থা আমাদের প্রযুক্তিগত পরিষেবার জন্য অর্থ দিয়েছে— এগুলো ব্যবসায়িক চুক্তি, অনুদান নয়।”
২০১৮ সালের র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারজয়ী এই আন্দোলনকারী জানান, প্রয়োজনে তিনি গ্রেফতার হতে প্রস্তুত। “আমি প্রস্তুত আছি। তবে জেলে থাকাকালীন সোনম ওয়াংচুক বাইরে থাকার থেকেও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে সরকারের জন্য,” বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “যারা দেশের প্রতিরক্ষায় কাজ করেছে, সেনাদের জন্য সৌরচালিত আশ্রয় তৈরি করেছে, চিনবিরোধী আন্দোলন চালিয়েছে, চিনা পণ্যের বয়কট করেছে, যদি তাদের জেলে পাঠানো হয় আর দুর্নীতিবাজরা বাইরে ঘুরে বেড়ায়, তাহলে দেশবাসীর চোখ খুলে যাবে।”