কমবয়সী কেউ নয়, পঞ্জাবের ৭৩ বছরের মহিলাকে যেভাবে জোর করে অমানবিকভাবে আমেরিকা থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। ৩৩ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর নির্বাসিত হওয়া পঞ্জাবের প্রবীণ মহিলা হরজিত কৌর মোহালিতে সংবাদমাধ্যমকে অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, “আমি নিরামিষাশী। তারা আমাকে গরুর মাংস পরিবেশন করেছিল, যা আমি খেতে পারিনি। ফ্লাইটে আমাকে শুধু কিছু চিপস আর দুটি কুকি দেওয়া হয়েছিল। কোনও ওষুধও দেয়নি।”
কৌর আরও জানান, ৮ সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে ফ্রেসনো থেকে বেকার্সফিল্ডে নিয়ে গিয়ে ৮-১০ দিন রাখা হয়। এরপর তাঁকে অ্যারিজোনায় নিয়ে গিয়ে তারপর ১৮-১৯ ঘণ্টার ফ্লাইটে দিল্লি পাঠানো হয়। জর্জিয়ার একটি অস্থায়ী আটক কেন্দ্রে তাঁকে ৬০-৭০ ঘণ্টা মেঝেতে একটি কম্বল নিয়ে শুয়ে থাকতে হয়েছিল। এই সময় তাঁকে একবারও স্নানের সুযোগ দেওয়া হয়নি। বর্তমানে তিনি মোহালিতে তাঁর বোনের বাড়িতে আছেন। তিনি জানান, একই বিমানে মোট ১৩২ জনকে পাঠানো হয়েছিল, যাদের মধ্যে ১৫ জন কলোম্বিয়ার নাগরিক। যদিও অন্যদের হাতকড়া ও শিকলে বেঁধে রাখলেও তাঁকে হাতকড়া পরানো হয়নি।
২০১২ সালেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৌরের আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি ১৩ বছর ধরে সান ফ্রান্সিসকোতে আইসিই অফিসে নিয়মিত রিপোর্ট করতেন। কৌরের পুত্রবধূ জানান যে তিনি কখনও নিয়ম ভাঙেননি, তবুও হঠাৎ তাঁকে নির্বাসিত করা হয়েছে।