বাংলায় এবারের দুর্গাপুজোয় বৃষ্টি যেন আতঙ্ক! তবে শুধু বাংলাতেই নয়, এবার মহারাষ্ট্রের দুর্গাপুজোকেও মাটি করতে পারে ভারী বৃষ্টি। আইএমডির রবিবারে বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, কোঙ্কন, মধ্য মহারাষ্ট্র এবং মারাঠওয়াড়ায় ব্যাপক বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। রায়গড় এবং থানের মতো মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের জন্য জারি কমলা সতর্কতা। জানানো হয়েছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে বৃষ্টিপাতের পরিমান বেশ বাড়বে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে আশঙ্কার কথা উঠে আসতেই মহারাষ্ট্র জুড়ে জারি হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
সেরাজ্যের জরুরি অপারেশন সেন্টার জানিয়েছে, মুম্বই, থানে, পালঘর, রায়গড়, রত্নগিরি এবং সিন্ধুদুর্গ জেলা ভারী বৃষ্টির জন্য প্লাবিত হতে পারে। আর সেই কারণেই নাগরিকদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত জেলাশাসকদের। ভূমিধস এবং নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় আগাম প্রস্তুতিও নিতে বলা হয়েছে। নদীগুলির প্রবাহের দিকে নজরদারি এবং হড়পা বানের আশঙ্কার কথাও তুলে ধরে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জেলা শাসকদের। সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি ক্রমাগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশিকা জারি করেছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন।
২৮ সেপ্টেম্বরের জন্য, পুণে এবং মুম্বইতে কমলা সতর্কতা এবং থানে, রায়গড় এবং পালঘরে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, ওয়াশিম, নাগপুর, অমরাবতী, ধুলে এবং আরও অনেক জায়গায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আইএমডি সতর্কতার মধ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই, রায়গড়, থানে এবং নাসিকের জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং জানানো হয়েছে অক্টোবরের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা।মহারাষ্ট্র সরকার জেলা প্রশাসনকে আগামী ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোলরুম খুলে রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা থেকে জমা জল দ্রুত সরাতে তাদের পাম্পগুলিকেও যেন প্রস্তুত করে রাখে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হওয়া আশঙ্কা যেমন আছে, তেমনি ঝড়ো হাওয়ার দাপটে উপড়ে পড়তে পারে গাছ। রেল ও সড়ক পরিবহণে ক্ষেত্রে সেই উপড়ে পড়া গাছ যেন বড় বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা যেন এই সব আশঙ্কা কথা আগাম জেনে সেই মতো প্রস্তুতি সেরে রাখেন।
একটানা বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে বিপজ্জনক এবং পুরাতন ভবনগুলির দিকেও নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। সম্ভাব্য ভারী বৃষ্টিপাতের বিষয়ে নাগরিকদের এসএমএস, সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে দুর্যোগের আগাম সতর্কতা দেওয়া শুরু হয়েছে।
মহারাষ্ট্র সরকার নাগরিকদের বিপজ্জনক এলাকাগুলি এড়িয়ে যেতেও পরামর্শ দিয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় না যাওয়া কিংবা বজ্রপাতের সময় গাছের নীচে না থাকার কথাও গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা চলছে। সবমিলিয়ে প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতি যতটা সম্ভব কম করতেই, পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন।