কলকাতায় এবার রেড রোড কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৫ অক্টোবর। বাংলার দুর্গাপুজোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কার্নিভাল হতে পারে এবারের রেড রোড কার্নিভাল। এবারে ১১৩টি পুরস্কার বিজয়ী দুর্গা পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করবে এই কার্নিভালে। গত বছর এই কার্নিভালে অংশ নিয়েছিল ৮৯টি পুজো কমিটি। ২০২২ এবং ২০২৩ সালে প্রায় ১০০টি কমিটি অংশগ্রহণ করেছিল।
এই কার্নিভালে প্রতি বছরের মতো এবারও বিভিন্ন পুজো কমিটির থিম ফুটে উঠবে। চেতলা অগ্রণীর শুভেন্দু সামন্ত জানান, “কার্নিভালে প্রতিটি ইনস্টলেশন সেই বছরের পুজোর থিমকে প্রতিফলিত করে। এবারের কার্নিভালেও তার ব্যতিক্রম হবে না। দুর্গা প্রতিমা এবং থিম-ভিত্তিক ট্যাবলোর মাধ্যমে দর্শকরা সেই বছরের পুজোর মূল ভাবধারা দেখতে পাবেন।”
এবারের কার্নিভালে কিছু বিশেষ থিম থাকছে। চালতাবাগান সর্বজনীন দুর্গা পুজো, মেছুয়াবাজার ‘আমি বাংলায় বলছি’ থিমের মাধ্যমে বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান জানাবে। মানবজীবনের মৌলিক চাহিদা যেমন খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থানের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী। টালা প্রত্যয়ের থিমে তুলে ধরা হবে ‘বীজ অঙ্গন’ খাদ্যে ভেজাল, মুদ্রাস্ফীতি ও কৃষি নীতির প্রভাবের মতো বিষয়।
কার্নিভালের মূল এলাকা, অর্থাৎ ফোর্ট উইলিয়াম থেকে আকাশবাণী ভবনের এক কিলোমিটার রাস্তা, ওইদিন শিল্পকর্মে পূর্ণ হয়ে উঠবে। এই শিল্পকর্মগুলো সমাজের ভাবনা, ঐতিহ্য এবং ইতিহাসকে একত্রে উপস্থাপন করবে।
যদিও দশমীতে সিঁদুর খেলা দিয়ে শেষ হয় দুর্গা পুজো। তারপরও রেড রোডে উৎসব চলতে থাকে। হাজার হাজার মানুষ এখানে এসে সেরা পুজো কমিটির প্রতিমা এবং শিল্পকর্মের শেষ দৃশ্য উপভোগ করে। পরে প্রতিমাগুলি বাবুঘাটে বিসর্জন দেওয়া হয়।
সমাজ সেবী সংঘের সাধারণ সম্পাদক অরিজিত মৈত্র বলেন, “যারা আমাদের পুজো প্যান্ডেল দেখতে পারেন না, তারা এই কার্নিভালে এসে শেষ মুহূর্তের সেরা শিল্পকর্ম দেখতে পান। অনেক বিদেশি অতিথিরাও এখানে উপস্থিত থাকেন এবং একসঙ্গে আমাদের রাজ্যের শিল্পকলার সৌন্দর্য উপভোগ করেন।”