
বারবার অস্বীকার করলেও অপারেশন সিন্দুরে যে পাকিস্তানের কত বড় ক্ষতি হয়েছিল তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং। শুক্রবার ৯৩তম এয়ারফোর্স ডে উদযাপন উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, ১০টি পাকিস্তানি জেট ধ্বংস করা হয়েছিল যার মধ্যে রয়েছে এফ-১৬ ও জেএফ-১৭। এর আগে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ সেভাবে কোনও ক্ষতিই হয়নি এমন বার্তা দেওয়ায় বারবার ভারতের তোপের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। ভারতের করা ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযানে পাকিস্তানের সমর্থনে চলা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বড়সড় ক্ষতি হলেও তা প্রকাশ্যে মানতে নারাজ ইসলামাবাদ।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহবাজ শরিফ দাবি করেন, ভারত ‘উসকানিহীন আগ্রাসন’ চালিয়েছিল, যার জবাব পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অসাধারণ দক্ষতা ও সাহসের সঙ্গে দিয়েছে। ‘আমরা যুদ্ধ জিতেছি, এবার শান্তি চাই’, এমন মন্তব্যও করেন শরিফ। যদিও তার জবাবে ভারতের কূটনীতিক পেটাল গেহলট বলেন যে পাকিস্তানের রানওয়ে ও হ্যাঙ্গার ধ্বংস হওয়ার ছবি আমাদের কাছে প্রমাণ হিসেবে রয়েছে। যদি পোড়া হ্যাঙ্গার আর ধ্বংস হওয়া রানওয়েই বিজয়ের চিহ্ন হয়, তবে পাকিস্তান তা উপভোগ করুক বলে কটাক্ষও করেন তিনি।

এবার প্রকাশ্যে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং জানিয়ে দিলেন যে গত মে মাসের সংঘাতে ভারত ৮–১০টি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল। ধ্বংস হওয়া বিমানের মধ্যে ছিল আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ এবং চিনের তৈরি জেএফ-১৭ ফাইটার জেট। বায়ুসেনা প্রধান পাকিস্তানের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা পাকিস্তান যেগুলো বলছে, সেগুলো নিছকই মনগড়া গল্প।” এদিন বায়ুসেনা প্রধান আরও জানান যে ৩০০ কিমি দূরে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে হামলা চালানো ছিল বায়ুসেনার ইতিহাসে ‘সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার’। একে তিনি বায়ুসেনার বছরের ‘সবচেয়ে বড় সাফল্য’ বলে উল্লেখ করেন। এপি সিং জানান, এসব হামলা পাকিস্তানের উপর কৌশলগত এবং মানসিকভাবে বড় আঘাত হেনেছিল। তাঁর কথায়, আমরা পাকিস্তানকে এমন অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলাম, যেখানে তাদের বাধ্য হয়েই যুদ্ধবিরতি চাইতে হয়।