
পাকিস্তানের উদ্দেশে তীব্র সতর্কবার্তা দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, “পাকিস্তান যদি রাষ্ট্রপোষিত সন্ত্রাস বন্ধ না করে, তবে ইতিহাস ও ভূগোল থেকেই তাদের অস্তিত্ব মুছে যাবে।”রাজস্থানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন,”পাকিস্তান যদি ইতিহাস ও ভূগোলে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে চায়, তবে রাষ্ট্রপোষিত সন্ত্রাস অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমরা এবার আর অপারেশন সিন্দুর ১.০-র মতো সংযম দেখাব না। আবার প্ররোচিত করলে আরও একধাপ এগিয়ে জবাব দেওয়া হবে।”তিনি আরও বলেন, “এমন আঘাত হানতে পারি যাতে পাকিস্তান বাধ্য হবে ভেবে দেখতে, তারা আদৌ ইতিহাস-ভূগোলে টিকে থাকতে চাইছে কি না।”
পহেলগামে ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালায়। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনা যৌথভাবে নির্ভুল হামলা চালিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের গভীরে অন্তত ৯টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করে এবং ১০০-রও বেশি জঙ্গিকে নিকেশ করে।ভারতের পাল্টা জবাবে দিশাহারা পাকিস্তান পরবর্তী ২-৩ দিন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনা সেই আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয় এবং সামরিক ঘাঁটি ও বেসামরিক কোনও স্থানেই ক্ষতি হতে দেয়নি।সেনাপ্রধান দ্বিবেদী সেনাদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন, “সবসময় প্রস্তুত থাকুন। ঈশ্বর চাইলে আপনারা খুব শীঘ্রই আবারও অস্ত্রক্ষমতা প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন। শুভেচ্ছা রইল। জয় হিন্দ।”

১০ মে পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) ভারতের ডিজিএমও-কে ফোন করে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানান। ভারত তাতে সম্মত হয়। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তাঁর মধ্যস্থতায় শান্তি ফিরেছে। তবে ভারত স্পষ্ট জানায়, কোনও তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা ছিল না।যুদ্ধবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সতর্ক করে দেন, “অপারেশন সিন্দুর এখনও বজায় আছে। আবার প্ররোচনা পেলে আরও কঠোর জবাব আসবে।”এরই মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনাপ্রধান এ পি সিং ৯৩তম এয়ারফোর্স ডে-তে জানান, মে মাসের সংঘাতে পাকিস্তানের ৮-১০টি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ ও চিনা জেএফ-১৭ ছিল, ধ্বংস করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের দাবি যে ভারতীয় জেট ধ্বংস হয়েছে, তা “মনগড়া কাহিনি মাত্র।” তাঁর ভাষায়, “৩০০ কিমি গভীরে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে এই আঘাত ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার সবচেয়ে ‘লংগেস্ট কিল’।
এটাই বছরের সেরা সাফল্য।”সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দাবি করেন, মে মাসে সংঘর্ষে ৭টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপতিত হয়েছে।সেনাপ্রধান ও বায়ুসেনা প্রধানের সাম্প্রতিক প্রকাশ্য বার্তা স্পষ্ট করছে, ভারত পাকিস্তানকে আর কোনও ছাড় দিতে রাজি নয়, ভবিষ্যতে প্ররোচনা এলে আরও বিধ্বংসী জবাব প্রস্তুত রয়েছে।