
ঘরের মাঠে জয়ে ফিরল টিম ইন্ডিয়া। গত বছর দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ০-৩, হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছিল রোহিত শর্মার দলকে। সেই ভুল করলেন না শুভমান গিলেরা। শনিবার মোতেরায় প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস এবং ১৪০ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারতীয় দল। যার জেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অব্যাহত থাকল তাদের আধিপত্য।
ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ২-২ ড্র করে ফিরেছিল শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারত। সেই সিরিজেই শুরু হয়েছিল জয়ের ধারা। ওভালে পঞ্চম টেস্টে সিরাজের অবিস্মরণীয় বোলিংয়ে অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে আনে দল। এরপর এশিয়া কাপে ৭ ম্যাচ খেলে ৭ টিতেই জয়। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজ খেলতে নামার আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সব মিলিয়ে মোট ৮ টি ম্যাচে অপরাজিত ছিল ভারত।
শনিবারের বারবেলায় মোতেরা জয়ের পর আরও একধাপ এগিয়ে গেল তারা। যে দল বিলেতের মাটি থেকে সিরিজ ড্র করে ফিরেছে, ঘরের মাঠে তাদের কি না টক্কর দেবে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের ৮ নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ! এই মুহূর্তে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আর যাই হোক, অন্ততঃ রস্টন চেজের ‘দুগ্ধপোষ্য’ দলের যে কম্ম নয় তা সদ্য সমাপ্ত টেস্টে প্রতি মুহূর্তেই বুঝিয়ে দিয়েছেন গুরু গম্ভীরের ছাত্ররা। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত দাঁড়িয়েছিল ৪৪৮/৫ অবস্থায়। ম্যাচের তৃতীয় সকালে সেই স্কোরেই ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক গিল।২৮৬ রানের লিড যে যথেষ্টর থেকেও অনেক বেশি, এর পর তাই প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় বোলাররা। যদিও অল্পের জন্য একই ম্যাচে সেঞ্চুরি এবং ৫ উইকেট নেওয়ার আরও একটি সুযোগ থেকে বঞ্চিত জাদেজা। ব্যাট হাতে ১০৪ রানে অপরাজিত থেকে গিয়েছিলেন জাড্ডু। এর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ রান দিয়ে তুলে নিলেন ৪ উইকেট। এই অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পর স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সেরা তিনিই।
গত বিলেত সফর থেকেই ‘অলরাউন্ডার’ শব্দটির একেকটি নয়া পরিভাষা লিখছেন জাদেজা। এদিনও তার অন্যথা হল না। অন্যদিকে বিশ্বের সেরা বোলার জশপ্রীত বুমরাহ অবশ্য ৬ ওভার বল করে কোনও উইকেট পাননি ঠিকই। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের পর এ দিনও ৩১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট সিরাজের। বাকি ৩ উইকেটের ২ টি তুলে নেন কুলদীপ যাদব এবং অন্যটি ওয়াশিংটন সুন্দর।