
অপারেশন সিন্দুর’-এ বড়সড় ধাক্কা খেলেও ক্রমেই যেন সীমানা অতিক্রম করে বেড়ে খেলছে ইসলামাবাদ। আর এমন পরিস্থিতিতেই পাকিস্তানকে আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে রাখল নয়াদিল্লি। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের তিন শীর্ষ কর্তা পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ‘অ্যাডভেঞ্চারিজম’-এর বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন।

ইসলামাবাদকে সতর্ক করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং-এর দেওয়া বার্তাগুলোকে এক ধরনের প্রতিরোধমূলক সংকেত হিসেবেই দেখা হচ্ছে। যাতে আরেকটি পুলওয়ামা ধাঁচের হামলা বা সীমান্তে জমি দখলের চেষ্টা থেকে পাকিস্তান বিরত থাকে। এটাও স্পষ্ট করে হচ্ছেটি যাতে আরেকটি পুলওয়ামা ঘটলে পাকিস্তানকে ‘অপারেশন সিন্দুর ২’-এর মোকাবিলা করতে হবে যাতে শুধু কেবল সামরিক পরিকাঠামোই নয়, নিজেদের ভূখণ্ডের অংশও হারাতে হতে পারে।
অপারেশন সিন্দুর-এ ভারতীয় বিমানবাহিনীর হামলায় পাকিস্তানের একাধিক রানওয়ে, রাডার ও কমান্ড পোস্ট ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তা এখনও পুরোপুরি পুনর্গঠন করতে পারেনি ইসলামাবাদ। অথচ মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে মুনির নিজেকে ফিল্ড মার্শালের পদে উন্নীত করেছেন এবং ‘হাইব্রিড সিভিল-মিলিটারি’ সরকার পরিচালনা করছেন। মুনির এরই মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দু’বার বৈঠক করেছেন, দেশের দুর্লভ খনিজ ও বন্দরগুলিকে বন্ধক দিয়েছেন, সৌদি আরবকে পারমাণবিক অস্ত্রের সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন এবং বেজিং-এর সঙ্গে ভাই ভাই সম্পর্ক পাতাতে চলেছেন।

অল্পদিন আগেও ইসলামাবাদ ছিল ঋণজর্জর, বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ও সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তকমাওয়ালা রাষ্ট্র। এক বছরের মধ্যেই পাকিস্তানের এই নাটকীয় উত্থান বিস্ময়কর। মুনিরের এই অতি তৎপরতায় ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকির কথাই ভাবাচ্ছে ভারতকে।