
ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা শান্তি পরিকল্পনা অনেকাংশে মেনেই নিয়েছে হামাস। রাজিও হয়েছে সব ইজরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে। তবুও যেন তর সইছে না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ট্রাম্প হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন, তারা চুক্তি মানতে বিলম্ব করলে “ধৈর্য সহ্য করা হবে না”, অন্যথায় সব কিছু উল্টে যেতে পারে। যদিও ট্রাম্পের নির্দেশ না মেনেই তাদের বন্ধু দেশ ইজরায়েল এখনও গাজায় বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।
ট্রাম্প-প্রস্তাবিত রোডম্যাপের ওপর হামাসের সম্মতির পর মিশরের রাজধানী কায়রোতে শান্তি আলোচনার জন্য প্রতিনিধিরা মিলিত হচ্ছেন। আলোচনার মূল এজেন্ডা হল বন্দি বিনিময় ও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি। ইজরায়েল জানিয়েছে যে তারা আশাবাদী, কয়েকদিনের মধ্যেই বন্দিদের মুক্তি সম্ভব হবে। ট্রাম্প একই সঙ্গে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর জামাই জ্যারেড কুশনার ও প্রধান মিডল-ইস্ট মধ্যস্থতাকারী স্টিভ উইটকফকে কায়রোতে পাঠিয়েছেন।আর এমন পরিস্থিতিতেই ট্রাম্প টুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, “এই মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত চুক্তিতে এগিয়ে আসার সময়। তবে আমি বিলম্ব সহ্য করব না।”

হামাসের জবাব, বন্দি মুক্তি ও জরুরি ত্রাণ প্রবেশ করার ক্ষেত্রে সম্মতি দেখালেও নিরস্ত্রীকরণ ও ইজরায়েলি সেনা ধাপে ধাপে প্রত্যাহারের মতো মূল ইস্যুগুলো এখনও সম্পূর্ণ নির্ধারিত হয়নি। কায়রোতে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে কাতার, মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চালাচ্ছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি কায়রো আলোচনায় দ্রুত অগ্রগতি চান।
