
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মনসুকা,পার্বতীচক, বালিডাঙ্গায় ঝুমি নদীর উপর পারাপারের বাঁশের সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ঝুমি নদীর জল বাড়লেই ভেঙে পড়ে পারাপারের বাঁশের সাঁকো একাধিকবার বন্যায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ঝুমি নদীর উপর পারাপারের সাতটি বাঁশের সাঁকো বর্ষার শুরুতেই ভেঙে গিয়েছে আবার নতুন করে পুজোর আগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছিল মনসুকার দুইটি ঘাটে।

কয়েকদিনের নিম্নচাপের বৃষ্টি সঙ্গে ডিভিসির ছাড়া জলে মনসুকার ঝুমি নদীর জলস্তর বৃদ্ধির জেরে ভেঙে গিয়েছে পারাপারের বাঁশের দুটি সাঁকো। এক কথায় মনসুকা এলাকার সবকটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকো চড়ে চলছে পারাপার। শুধু ঘাটাল ব্লকই নয় হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষও ঘাটালের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ঝুমি নদী পারাপার করেন। স্থানীয় মানুষের দাবি কয়েক বছর আগে গ্রাম উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে ঝুমী নদীর উপর মনসুকা ঘোড়ই ঘাট এলাকায় ভগবতীর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। বর্তমানে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু সেতুতে ওঠার সংযোগকারী রাস্তা না তৈরি হওয়ায় এখনও চালু হয়নি ভগবতী সেতু। দ্রুত ভগবতী সেতু চালু করার দাবি তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

অন্যদিকে শিলাবতী নদীর জলস্তর বৃদ্ধির জন্য জলমগ্ন গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা।নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টি এবং বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায় শিলাবতী নদীর জল বেড়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তায় উঠল জল। বাঁকা থেকে মানিককুন্ডু যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পিচ রাস্তা জলমগ্ন হওয়ার ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত। জলে ডুবে মানিককুন্ডু এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমির ধান। ধান জলে ডুবে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকরা। এবারই প্রথম নয়, এবছর বর্ষায় শিলাবতী নদীর জলস্তর বাড়লেই প্রতিবারই একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি,এলাকায় শিলাবতী ও কেঠিয়া নদী রয়েছে,আগের বন্যায় দুই নদীর একাধিক জায়গায় বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল।সেই বাঁধ যথাযথ মেরামত না হওয়ায় নদীর জলস্তর বাড়লেই সেই জল চাষের জমি হয়ে গ্রামে ও রাস্তার উপর দিয়ে বইতে থাকে।দ্রুত ভাঙা বাঁধ মেরামতের দাবি স্থানীয়দের।