
৬ বছরের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ১৭ কোটি নতুন চাকরি তৈরি হয়েছে। ভারতের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের তথ্য বলছে সেই কথাই। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০১৭–১৮ সালে মোট কর্মসংস্থান ছিল ৪৭ কোটি ৫০ লাখ, যা ২০২৩–২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৩৩ লাখ। অর্থাৎ ৬ বছরের মধ্যে মোট ১৬ কোটি ৮৩ লাখ কর্মসংস্থান বেড়েছে দেশে।
সরকারি প্রতিবেদন বলছে, একই সময়ে বেকারত্ব হার ৬% থেকে কমে ৩.২% হয়েছে। এই পরিসংখ্যান নির্দেশ করে যে, বেশি মানুষ উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছে। যুব সম্প্রদায়ের (ইউথ) বেকারত্বও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ১৭.৮% থেকে নেমে ১০.২% পর্যন্ত পৌঁছেছে যুব সম্প্রদায়ের বেকারত্বের হার, যা বিশ্বের গড় ১৩.৩%-এর নিচে রয়েছে।
এছাড়া মহিলারা কাজের বাজারে বড় ভূমিকা নিচ্ছেন। গত সাত বছরে ১ কোটি ৫৬ লাখেরও বেশি মহিলা ফরমাল সেক্টরে যোগ দিয়েছেন। এটাই মোট কর্মসংস্থানের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

চাকরির ধরনের পরিবর্তনও দেখা গেছে। সেলফ এমপ্লয়মেন্ট কর্মসংস্থান ২০২৩–২৪ সালে বেড়ে ৫৮.৪% হয়েছে। এই বৃদ্ধির জন্য স্টার্টআপ ও গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার (GCCs)-কে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে মন্ত্রক। সরকারী তথ্য অনুসারে প্রায় ২ লক্ষ DPIIT-স্বীকৃত স্টার্টআপ, যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, ২০২৫ সাল পর্যন্ত ১৭ লক্ষেরও বেশি চাকরি সৃষ্টি করেছে এবং ১১৮টি ইউনিকর্ন তৈরি হয়েছে।
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে যে, বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগও এই উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছে, যেমন দক্ষ ভারত অভিযান, রোজগার মেলা, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্প, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন (মনরেগা), প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা এবং লক্ষপতি দিদি প্রকল্প সহ অন্যান্য কর্মসূচি। এই সব উদ্যোগ মিলিয়ে শ্রমবাজারে মানুষের কর্মসংস্থানে যোগদানের গতি বাড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রকের বিবৃতিতে।