
গোটা বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে বেড়ে চলেছে সীমান্ত সমস্যাও। এমন পরিস্থিতিতেই রাশিয়া থেকে আরও ৫টি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার বিষয়ে আলোচনা শুরু করছে ভারত। ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সময় এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সুফল পেয়েছে সেনাবাহিনী। ওই অভিযানে ১০ মে পাকিস্তান বিমানবাহিনী সিন্ধু নদের পূর্বদিকে উড়তে সাহস করেনি।

জানা যাচ্ছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা এই সপ্তাহে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে থাকছে ভারত আরও ৫টি এস-৪০০ সিস্টেম কিনবে কি না অথবা যৌথভাবে তৈরি করবে। এর লক্ষ্য হল ভারতের দীর্ঘপাল্লার প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করা। এই চুক্তিতে সবুজ সংকেত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ৫ ডিসেম্বর দিল্লি সফরের আগে। তখন তাঁর সঙ্গে বৈঠকে কথা পাকা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারের এস-৪০০ চুক্তির আওতায় পাঁচটির মধ্যে দুটি সিস্টেম ২০২৬ সালের শেষের মধ্যে হাতে পাবে ভারত। তবে এখন আলোচনায় রয়েছে অতিরিক্ত পাঁচটি সিস্টেম কেনার কথা যা ভারতের ৭,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি উপকূলরেখা রক্ষা ও উত্তর কমান্ড অঞ্চলের এয়ার ডিফেন্স রক্ষায় ব্যবহৃত হবে।

ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে ২০০ কিমি-র বেশি পাল্লার আর ভি ভি-বিডি এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল সংগ্রহের কথাও ভাবছে। এটি যুক্ত হলে ভারতের সু-৩০ এমকেআই সিস্টেম আরও শক্তিশালী হবে। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই চিনের তৈরি ২০০ কিমি পাল্লার পি এল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন তা ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহারও করেছে। কিন্তু ৭ মে-র প্রাথমিক আক্রমণের পর থেকেই এস-৪০০-র ভয়ে পাকিস্তান তাদের সব বিমান সীমান্ত থেকে ৩০০ কিমি দূরে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।