
চেনা পাহাড় অচেনা হয়ে গিয়েছে দ্রুত। ডুয়ার্সের কিছু জায়গার পরিস্থিতিও ভয়াবহ। পাহাড়ে ডুয়ার্সে, ধসে গিয়েছে রাস্তা। পাহাড় থেকে গড়িয়েছে পাথর। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু জায়গায়। জল নামলেও নতুন করে শুরু হয়েছে পানীয় জলের কষ্ট। তবুও প্রাণ বিপন্ন করে পর্যটকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পাহাড়বাসী, ডুয়ার্সবাসী। বরাবরের মতোই। নিজেরা সব হারিয়েও, চোখের জল মুছে পর্যটকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। এটাই দার্জিলিং। এটাই ডুয়ার্স।
এসবের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে একটি ভিডিয়ো।
এক ব্যক্তি দড়িতে ঝুলে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাচ্ছেন। নিচে গভীরভাবে ধসে যাওয়া রাস্তা। যিনি এভাবে জীবন বিপন্ন করে যাচ্ছেন, তিনি চিকিৎসক। ধসের কারণে গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সেকারণে রোগী দেখতে নিজের জীবন বিপন্ন করে দড়িতে ঝুলে গ্রামে যাচ্ছেন ডাক্তারবাবু। বিধ্বস্ত, বিপন্ন, বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে তিনি রিয়েল হিরো।
নাগরাকাটার বন্যা ও ধসের পরিস্থিতিতে মানবিকতার এক অনন্য নজির গড়লেন স্থানীয় BMOH ইব্রাহিম মোল্লা।
ধসে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বামনডাঙা এলাকায় চিকিৎসার অভাবের কথা জানতে পেরে তিনি প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই পৌঁছে গেলেন দুর্গত মানুষের পাশে। ধস নেমে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় দড়ি বেয়ে বিপজ্জনক পথ অতিক্রম করে পৌঁছাতে হয় তাঁকে।
বন্যা ও ভূমিধসে আটকে পড়া মানুষদের চিকিৎসা ও প্রাথমিক সেবা দিতে তাঁর এই উদ্যোগকে প্রশংসা করছেন অনেকেই।প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তাঁর এই ত্যাগ ও মানবিকতার প্রশংসা করা হয়েছে।
একজন সরকারি চিকিৎসক হয়েও নিজের দায়িত্বের বাইরে গিয়ে এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই যেন প্রমাণ করে— বাংলার আসল নায়ক কার্নিভালের নয়, দুর্দিনে মানুষদের মাঝেই জন্ম নেন।
