
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করলেন যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিচুক্তি তাঁরই মধ্যস্থতায় হয়েছিল এবং তাতে “বাণিজ্যিক চাপ”ই ছিল মুখ্য ভূমিকা। ট্রাম্প বলেন, তাঁর আরোপিত শুল্কনীতিই নাকি দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের সংঘাত থামাতে সাহায্য করেছিল।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “যদি আমার হাতে শুল্ক আরোপের ক্ষমতা না থাকত, তাহলে সাতটির মধ্যে অন্তত চারটি যুদ্ধ এখনও চলত। দেখুন ভারত ও পাকিস্তানের দিকে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। সাতটি বিমান গুলি করে নামানো হয়েছিল, আমি ঠিক কী বলেছিলাম তা বলতে চাই না, কিন্তু তা অত্যন্ত কার্যকর ছিল। শুধু আমরা শত শত বিলিয়ন ডলারই উপার্জন করিনি, বরং শুল্কের কারণেই আমরা শান্তিরক্ষক হিসেবেও কাজ করেছি।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্য নতুন নয়। চলতি বছরের মে মাসে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছিলেন যে, তাঁর মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান “সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে” রাজি হয়, এবং সেই চুক্তি হয়েছিল “ওয়াশিংটনের দীর্ঘ একরাতের আলোচনার” পর।
অগস্ট মাসে ট্রাম্প আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের কথায়, “আমি বলেছিলাম, আমি তোমাদের সঙ্গে কোনও বাণিজ্যচুক্তি করতে চাই না, তোমরা পরমাণু যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছ। আমি বলেছিলাম, আগামিকাল আমাকে ফোন করো, কিন্তু আমরা কোনও চুক্তি করব না। বরং তোমাদের উপর এত উচ্চ শুল্ক বসাব যে মাথা ঘুরে যাবে।”
রিপাবলিকান নেতা দাবি করেন, মোদির সঙ্গে তাঁর পাঁচ ঘণ্টার আলোচনার মধ্যেই নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ শান্তিচুক্তিতে পৌঁছে যায়।
তবে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নির্ধারিত হয় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) যখন ভারতীয় ডিজিএমও-র সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন, তখনই।
প্রথমে পাকিস্তান এই দাবি অস্বীকার করলেও পরে তা মেনে নেয়। যদিও তারা ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছে, সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংকটে তাঁর “গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ভূমিকা ও নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ।”