
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার নবী মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর প্রথম ধাপ উদ্বোধন করেছেন। দেশের প্রথম সম্পূর্ণ ডিজিটাল বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত এই বিমানবন্দর যাত্রীদের জন্য আনছে ‘অ্যাংজাইটি-ফ্রি’ সুবিধা।
বিমানবন্দরে রয়েছে কমলফুলের নকশা, যা আধুনিক স্থাপত্যের সঙ্গে ভারতীয় ঐতিহ্যকে যুক্ত করেছে। আডানি গ্রুপের অধীনে পরিচালিত এই বিমানবন্দরটি পাঁচটি পর্যায়ে উন্নয়ন করা হচ্ছে।
যাত্রীরা এখন অনলাইনে পার্কিং স্লট, ব্যাগেজ ড্রপ এবং ইমিগ্রেশন সুবিধা বুক করতে পারবেন। AAHL-এর সিইও অরুণ বংসল জানিয়েছেন, “যাত্রীদের মোবাইলে বার্তা যাবে, যেমন আপনার ব্যাগ ক্রসেল নম্বর ২০-তে এসেছে।” এই ডিজিটাল ফিচারগুলো বিমানবন্দরের প্রত্যেক ধাপে অপেক্ষার সময় কমিয়ে যাত্রাকে আরও সুবিধাজনক করবে।
নবী মুম্বাই বিমানবন্দর নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ১৯,৬৫০ কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে বিমান চলাচল শুরু হবে এবং অক্টোবরের শেষ নাগাদ টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিগো, আকাসা এয়ার ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান চলাচলের জন্য প্রস্তুত।
বিমানবন্দরটি মুম্বাইকে লন্ডন, নিউইয়র্ক, টোকিওর মতো শহরের সঙ্গে তুলনীয় করে তুলেছে, যেখানে একাধিক বিমানবন্দর রয়েছে। ডিজিটাল সুবিধার কারণে এটি যাত্রীদের কাছে ‘অ্যাংজাইটি-ফ্রি’ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
প্রথম ধাপের উদ্বোধন দেশের বিমানপরিবহন খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা আন্তর্জাতিক যাত্রী এবং ব্যবসায়ী উভয়ের জন্য সুবিধা বাড়াবে।