
সদ্যসমাপ্ত এশিয়া কাপে ভারতের কাছে ০-৩ হেরেও লজ্জা নেই পাকিস্তানের। পাকিস্তানের মন্ত্রী মহসীন নকভি এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হওয়ায় ফাইনাল জিতেও তাঁর হাত থেকে ট্রফি নেয়নি টিম ইন্ডিয়া। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াঘার ওপার থেকে ধেয়ে আসছে একের পর এক মন্তব্যের তোপ। এরই মধ্যে ভাইরাল হল একটি ভিডিও ফুটেজ। সেখানে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে বক্সিংয়ের চ্যালেঞ্জ জানাতে দেখা গিয়েছে এশিয়া কাপে মাত্র ৬ উইকেট নেওয়া পাক স্পিনার আবরার আহমেদকে।
চলতি বছরের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে শুভমান গিলকে বোল্ড করার চোখ রাঙিয়েছিলেন আবরার। এরপর এশিয়া কাপ ফাইনালেও একইরকম বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সঞ্জু স্যামসনকে আউট করার পর তাঁকেও একইভাবে চোখের ইশারায় সাজঘরের রাস্তা দেখান আবরার। তবে সম্প্রতি ধাওয়ানকে বক্সিংয়ে চ্যালেঞ্জ জানানোর তাঁর যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তা গত জুন মাসের বলে জানা যাচ্ছে।
সেই সময় একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন আবরার। যেখানে উপস্থাপিকার ভূমিকায় থাকা সারা বালোচ সহসাই তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, “ক্রিকেট বিশ্বে এমন কোন খেলোয়াড় রয়েছেন, যার মুখোমুখি আপনি বক্সিং রিংয়ে হতে চান? কারণ তাঁর ওপর আপনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।” এই প্রশ্নের জবাবে বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে শিখর ধাওয়ানের নাম বলেন আবরার।
২৭ বছর বয়সী পাক স্পিনার বলেন, “আমি অবশ্যই বক্সিং করতে চাই। আর চাই আমার সামনে থাকুক শিখর ধাওয়ান।” এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান ভারতের কাছে ৫ উইকেটে হারের পর সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিওর অংশটি। উল্লেখ্য, এর আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদিও তোপ দেগেছিলেন ধাওয়ানের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের ম্যাচ এবং সেমিফাইনাল বয়কট করেছিল ভারতীয় দল। এর নেপথ্যেও ছিলেন ধাওয়ান।
ভারতীয় ক্রিকেটের ‘গব্বর’ চিঠি লিখে আয়োজকদের আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে ভারত-পাক ম্যাচ বাতিল করা হয়। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আফ্রিদিসহ গোটা পাকিস্তানের চক্ষুশূল হয়েছিলেন ধাওয়ান। তাঁর দিকে চাঁচাছোলা ভাষায় ধেয়ে আসতে থাকে একের পর এক নোংরা আক্রমণ। আর এ বার ধাওয়ানকে করা আবরারের চ্যালেঞ্জও এল সামনে। যার জবাবে গব্বর পাল্টা কী বলেন তা তো সময়ই বলবে, তবে এই আবহেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আবরার। সোমবার করাচিতে বিয়ে করেন পাক স্পিনার। তার বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসিসি তথা পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি, টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদ , ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদি এবং একাধিক বিশিষ্ট খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা।