বুধবার সকালে উত্তরপাড়া কোতরং পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের শিশুদের একটি বেসরকারি স্কুলের এসির আউটডোর ইউনিটে আগুন ধরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শিবতলা স্ট্রিটের প্রি প্রাইমারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটির এসির আউটডোর ইউনিটে হঠাৎই আগুন ধরে গিয়ে ধোঁয়া বের হতে থাকে। ঘটনার সময় স্কুলের ভিতরেই খুদে পড়ুয়ারা থাকায় বিপদের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও দূরদর্শিতার অভাবে তাদের স্কুলের বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাটুকুও মাথায় আসে নি স্কুল কর্তৃপক্ষের। তবে দমকলের ইঞ্জিন আসার আগেই আগুন নিভে যাওয়ায় কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে নি। তবে এই ঘটনায় স্কুলের শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে খবর এদিন সকালে জিটি রোডের উপর অবস্থিত ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এসির আউটডোর ইউনিটে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। ঘটনার সময় স্কুলের ভিতরই পড়ুয়ারা ছিল। স্থানীয়রা হঠাৎই এসির আউটডোর ইউনিট থেকে ধোঁয়া ও পোড়া গন্ধ বের হতে দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ দমকলে খবর দিলে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু তার আগেই স্থানীয়রা বালতি করে জল দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। স্থানীয় বাসিন্দা বীনা সরকার জানান তারা প্রথমে এসির আউটডোর ইউনিট থেকে আগুন বের হতে দেখে স্কুলের সিকিউরিটি গার্ডকে বিষয়টি জানায় এবং এসি মেশিন বন্ধ করতে বলেন। অন্যদিকে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা জানান আগুন লাগার পর শিশুদের নিরাপত্তার জন্য তাদের স্কুলের বাইরে নিয়ে আসা উচিত ছিল। পাশাপাশি স্কুলে কোনরকম অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। আগুন লাগার পর শিশুদের কেন স্কুলের ভিতর বসিয়ে রাখা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য আউটডোর ইউনিটে যেখানে আগুন লেগেছে তার কোন প্রভাব স্কুলের ভিতরে পড়ে নি। তবে স্কুলে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার প্রয়োজন আছে মনে করলেও এখনো পর্যন্ত কোনরকম অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেই বলে স্বীকার করে নেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। দমকল সূত্রে খবর প্রাথমিকভাবে এসির আউটডোর ইউনিটে কোন কারনে সার্কিট হয়ে আগুন লেগে থাকতে পারে। দমকল আধিকারিক কৃপাসিন্ধু দে জানিয়েছেন তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোন আগুনের শিখা দেখতে পান নি। তবে পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছেন দমকল বিভাগের আধিকারিকরা।