বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের রাজভবনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও গ্রেট ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারত-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের মধ্যে এখন নতুন শক্তি প্রবাহিত হচ্ছে।”
বৈঠকে উভয় নেতা বাণিজ্য, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, “ভারত একটি আন্তর্জাতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং আমরা চাই ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তার ন্যায্য স্থান দখল করুক।”
বৈঠকে আলোচ্যসূচির মধ্যে ছিল জুলাই মাসে সই হওয়া সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি (CETA), যা দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন অধ্যায়ের অংশ হিসেবে স্টারমার ঘোষণা করেছেন, মুম্বইয়ে ৯টি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপন করা হবে।
সংস্কৃতি ও বিনোদন ক্ষেত্রেও দুই দেশের সহযোগিতা দৃঢ় করার লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছে। স্টারমার জানিয়েছেন, ৩টি
বলিউড চলচ্চিত্রের স্টুডিয়ো ব্রিটেনে স্থানান্তর করা হবে, যা সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফর দুই দেশের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক
সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে এবং বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলবে।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমরা আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর এবং
ফলপ্রসূ করার জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করব। ভারত ও ব্রিটেন একসঙ্গে কাজ করে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে।”
এই সফর ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে মনে করা হচ্ছে, যা উভয় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।