
ভোটের আগেই বড় ধাক্কা অসম বিজেপিতে। দল ছাড়লেন চারবারের সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
একসময়ের সামলেছেন রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব, ছিলেন ২০ বছরের সাংসদ, এমনকি মোদি মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন, অবশেষে ১৭ জন অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি ছাড়লেন অসমের পদ্মশিবিরের হেভিওয়েট নেতা রাজেন গোহেন। একসময়
গেরুয়া শিবিরের ভরসার মুখ ছিলেন তিনি। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর গড় বলে পরিচিত নগাঁও আসন থেকেই তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার ‘ নির্দেশে ‘ দেওয়া হয়নি টিকিট। ২০২৪ সাল থেকেই বাড়ছিল দলের সঙ্গে দূরত্ব। শেষ পর্যন্ত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির সদস্যপদ ও দলের দেওয়া সমস্ত দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন করলেন রাজেন গোহেন।
৭৪ বছর বয়সি নেতা বৃহস্পতিবার বিকেলে গুয়াহাটিতে দলের রাজ্য সদর দফতরে পাঠিয়ে দেন পদত্যাগ পত্র। সঙ্গে তাঁর ১৭ জন সমর্থকের পদত্যাগপত্রও পৌঁছল। এর থেকেই চওড়া হল বাংলার মতোই অসমে আদি ও নব্য বিজেপির টানাপোড়েন।
পদত্যাদের পরই তিনি জানান, “যাঁরা বর্তমানে ক্ষমতায় আছেন তাদের দেখে আমরা এই দলে যোগদান করিনি। আমরা অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী এবং অন্যান্য প্রবীণ নেতাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে যোগদান করেছি। কিন্তু (এখন) পরিস্থিতি এমন যে অন্যান্য দল থেকে লোক আনার পর, যারা তাদের জীবনের সেরা সময় বিজেপিকে দিয়েছেন তাদের সরিয়ে রাখা হয়েছে”
পাশাপাশি বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনাও শোনা যায় তার গলায়, গোহেন বলেন,” দল অসমের জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বহিরাগতদের রাজ্যে বসতি স্থাপনের অনুমতি দিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাই পদত্যাগ করলাম।” দলত্যাগী নেতার অভিযোগ, সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ২০২৪ সালের ১৬ মে-র পর আর অসমে একজনও বাংলাদেশি থাকবে না, কিন্তু তাঁরা নতুন কৌশলে ক্রমাগত বাংলাদেশিদের দেশে আনছে। তাঁর আরও দাবি, বিজেপি আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি মূল আশ্বাসের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে। রাজ্যের বর্তমান বিজেপি নেতৃত্ব আদিবাসী অহমিয়া জনগণের জমি ও সম্পদের বিনিময়ে বহিরাগতদের বসতি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
