
আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির দিল্লি সফরে মহিলা সাংবাদিকদের প্রেস কনফারেন্সে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা ও শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর পুরনো পোস্ট ভাইরাল হওয়ার ঘটনা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলোতে প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী তালিবানের নারী-বিরোধী নীতিকে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “Moderate Taliban, Legitimate Stakeholder Taliban, Give them a chance Taliban… লজ্জাজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। আফগানিস্তানের মানুষদের জন্য শুধু প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।”
অন্য একটি পোস্টে তিনি জানান, “ভারতে এমন মানুষ আছেন যারা তালিবানকে সমর্থন করছেন ও বলছেন তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত — ঘৃণ্য! এটি কেবলমাত্র উগ্রপন্থীদের সাফাই দেওয়ার চেষ্টা।”
প্রিয়াঙ্কা পরে জবাবে বলেন, “আমার মতামত আজও বদলায়নি। তালিবান এখনও নারীবিরোধী ও উগ্রপন্থী।”

মুত্তাকির প্রেস কনফারেন্সে মহিলা সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে সমালোচনা হয়। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, “তালিবানের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কোনও মহিলা সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটি ভারত সরকারের কাছেও একটি চ্যালেঞ্জ।”
একই সময়, আফগানিস্তানের এক মহিলা সংবাদ উপস্থাপিকা তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তাঁর অফিসে প্রবেশে বাধা পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুরুষ সহকর্মীরা অফিসে যেতে পারলেও, মহিলা সাংবাদিক হিসেবে তিনি প্রবেশ করতে পারেননি। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “সিস্টেম পরিবর্তন হয়েছে, এখন তারা বলছে আমি কাজ চালিয়ে যেতে পারি না।”
এই ঘটনার ফলে রাজনৈতিক মহলে ও সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে। বিরোধীরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা ভারতীয় নারীর শক্তি ও অধিকারকে প্রচারেই সীমাবদ্ধ রাখে, বাস্তবে প্রতিফলন দেখা যায় না।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুধুমাত্র মহিলা সাংবাদিকদের অবস্থা নয়, তালিবান রাজত্বে আফগানিস্তানে নারী অধিকারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভারতের রাজনৈতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপট একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী মন্তব্য করেছেন, এই প্রেক্ষাপটে ভারতের উচিত কৌশলগত ভাবে আফগান সরকার ও তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা।