
ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হামাস সোমবার প্রথম দফায় ৭ জন ইজরায়েলি যুদ্ধবন্দিকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির কাছে হস্তান্তর করেছে। এটি যুদ্ধবিরতির আওতায় মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম দল।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০ জন জীবিত যুদ্ধবন্দির বিনিময়ে ইজরায়েলে আটক ১,৯০০-রও বেশি প্যালেস্তানীয় বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে সোমবার মুক্তিপ্রাপ্ত যুদ্ধবন্দিদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে এখনো কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
রেড ক্রসের কাছে প্রথম দল পৌঁছানোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ইজরায়েল জুড়ে যুদ্ধবন্দীদের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের মধ্যে উল্লাস দেখা যায়। দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যুদ্ধবন্দি হস্তান্তরের খবর সম্প্রচার করে।
আসন্ন ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় আরও যুদ্ধবন্দি মুক্তি, প্যালেস্তানীয় বন্দিদের ছাড়পত্র এবং বিপুল পরিমাণ মানবিক সহায়তা প্রবেশের আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মিশর সীমান্তে ৪০০ ট্রাক ত্রাণসামগ্রী অপেক্ষা করছে বলে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে। ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমান অনুযায়ী, চুক্তি কার্যকর হলে প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক পর্যন্ত সহায়তা প্রবেশ করবে।
এপি সূত্রে বলা হয়েছে, গাজায় নিহত বলে ধারণা করা ২৮ জনের মরদেহ সোমবার ফেরত আসার সম্ভাবনা কম। ইজরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি মরদেহ হস্তান্তর না হয়, তবে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের সন্ধান অভিযানে নিযুক্ত হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ইজরায়েল প্রায় ২,০০০ প্যালেস্তানীয় বন্দিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে, যার মধ্যে ১,৭০০ জন গাজা থেকে যুদ্ধ চলাকালে আটক হয়েছিলেন, কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়াই।
এছাড়া প্রায় ২৫০ জন প্যালেস্তানীয়, যারা ইজরায়েলি নাগরিকদের উপর হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত, তারাও মুক্তির তালিকায় রয়েছেন। বাকিদের বিরুদ্ধে অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
এই ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ইজরায়েলে পৌঁছে মিশরে শান্তি সম্মেলনে অংশ নেবেন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প ইজরায়েলে যুদ্ধবন্দিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইজরায়েলি সংসদ নেসেট-এ ভাষণ দেবেন। এরপর তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি-র সঙ্গে বৈঠক করে আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলনে যোগ দেবেন।