
গুজরাটে বিধানসভা ভোটের আগেই প্রশাসনে বড় ধরনের পরিবর্তন শুরু হয়েছে। একাধিক মন্ত্রীর পদত্যাগের পর রাজ্যে নতুন মন্ত্রিসভার গঠন করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা আগামী ১৭ অক্টোবর গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে শপথ নেবেন। রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতজি এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রীদের পদ ও গোপনীয়তার শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।
এই অবস্থায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বিজেপির সূত্র অনুযায়ী, আপাতত তার পদ অক্ষত রয়েছে। এর আগে রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিআর পাতিলের স্থলে জগদীশ বিশ্বকর্মাকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। এই বদল নির্দেশ করে যে, নির্বাচনের আগে দল এবং প্রশাসনে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের গ্রিন বন্ড তালিকাভুক্তির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। ২০০ কোটি টাকার এই বন্ড জারি করে শহরের টেকসই উন্নয়নে নাগরিকদের অংশীদার করা হয়েছে। সুরাটের গ্রিন বন্ড আট গুণ বেশি সাবস্ক্রাইব হওয়ায় এটি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ এবং নগর পরিকল্পনার দূরদর্শিতা প্রদর্শন করছে।
রাজ্য সরকার সবুজ বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত পরিবেশ এবং অর্থনীতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে গুজরাট সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগ শুরু করেছে।
রাজ্য প্রশাসন ও কেন্দ্রের মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনকল্যাণ ও কার্যকর প্রশাসন নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনের আগে এই বদলগুলি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দৃঢ়তা প্রদর্শনের পাশাপাশি ভোট প্রক্রিয়ার প্রস্তুতিকে আরও প্রভাবশালী করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
মোটের উপর, গুজরাটে নির্বাচনের আগে প্রশাসন ও মন্ত্রিসভায় বড় পরিবর্তন ভোটপরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
