
জাপানে নতুন এক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস মহামারির আকার ধারণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাস আগের চেয়ে দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে। জাপানের সরকার ইতিমধ্যেই স্কুল ও কলেজ বন্ধ করেছে এবং লকডাউন ঘোষণা করেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ৬০০০ ছাড়িয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটির নতুন ভ্যারিয়েন্ট যা মূলত চিনের ফ্লু-এর অংশ। এটি ‘ক্যাটাল ফ্লু’ নামে পরিচিত। ভাইরাসটি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক দ্রুত ছড়ায় এবং প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, দ্রুত বিশ্বভ্রমণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এটি আন্তর্জাতিকভাবে ছড়াতে পারে।
জাপানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, ভাইরাসটির বিস্তার এমনভাবে হচ্ছে যা বাতাসের মাধ্যমে সহজেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে। শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়া রোগীদের মধ্যে সংক্রমণের হার ৯৭ শতাংশ। পরিস্থিতি এতটাই সংকটজনক যে, বাজার ও জনসভায় ভিড় এড়াতে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।
চিনেও পরিস্থিতি ভয়াবহ। উত্তর-পূর্ব চীনে ৭৪ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যেই ভাইরাসে আক্রান্ত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এটি বিশ্বজুড়ে মহামারিতে পরিণত হতে পারে।
জাপান ও চীনের পরিস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নজরেও এসেছে। মানুষকে মাস্ক পরার, হাত ধোয়ার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাসীকে প্রস্তুত থাকতে হবে কারণ এমন ভাইরাস দ্রুত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ছড়াতে পারে।
এই নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারির প্রভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্য কেন্দ্র ও গণপরিবহন সীমিত হয়ে এসেছে। বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ রোধে জাপান ও চীনসহ বিভিন্ন দেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত জনসাধারণের সতর্কতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
মোটের ওপর, জাপান থেকে শুরু হওয়া এই ভাইরাসের ছড়াচড়া আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
