
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে এক মহিলা চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। মৃত চিকিৎসকের নাম শালিনী দাস, পেশায় অ্যানাস্থেটিস্ট। উত্তর ২৪ পরগনার দমদমের বাসিন্দা শালিনী গত তিন মাস ধরে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি প্রায় দুই বছর তমলুক জেলা হাসপাতালে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি কাঁথির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বেসরকারি নার্সিংহোমেও যুক্ত ছিলেন।
শালিনী ও তাঁর মা তমলুক পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরনো ডিএম অফিস সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার সকালে পেশাগত কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শালিনী। প্রথমে মহিষাদলের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে যান, তারপর তমলুকের আরেকটি নার্সিংহোমে গিয়ে সকাল প্রায় ১১টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন।
বাড়ি ফেরার পরেই ঘটে অঘটন। তাঁর মা লক্ষ্য করেন, শালিনীর হাতে একটি চ্যানেল করা রয়েছে যা সকালে বেরোনোর সময় ছিল না। কিছুক্ষণ পরেই তিনি হঠাৎ মাটিতে পড়ে যান, আর চ্যানেল থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শালিনীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়ে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় রহস্যের ঘনঘটা আরও বাড়িয়েছে। কীভাবে তাঁর হাতে চ্যানেল করা হল, বা তিনি নিজেই তা করেছিলেন কি না তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়া বা ইনজেকশনজনিত কারণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। ইতিমধ্যেই তমলুক থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে।
ডাক্তার শালিনীর অকালমৃত্যুতে সহকর্মী ও চিকিৎসক মহলে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। স্থানীয় মহলে এই রহস্যঘেরা মৃত্যু এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
