
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শনিবার ভোরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়া থেকে আনা ১৮ টন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুরের দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিট থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমানবন্দর আগুনের কারণে প্রকল্পের অগ্রগতিতে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়, আগুন লাগার সময় কার্গো হোল্ডে রাখা হয়েছে রূপপুর প্রকল্পের জন্য আসা সরঞ্জাম। রাশিয়া থেকে ছ’দিন আগে ঢাকায় পৌঁছানো ১৮ টন বৈদ্যুতিক সামগ্রী খালাসের জন্য পারমাণু শক্তি কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। এই প্রক্রিয়ায় দেরির কারণে পণ্যগুলি তখন পর্যন্ত খালাস করা হয়নি। আগুন লাগার ফলে সব সরঞ্জাম ধ্বংস হয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং অনেক উড়ান বাতিল বা স্থগিত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩৭টি দমকল ইঞ্জিনের পাশাপাশি সেনা ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে কাজ করতে হয়। স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রাথমিকভাবে, আগুনে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি প্রশাসন ইতিমধ্যেই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুর্ঘটনা রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের অগ্রগতি এবং দেশের পরমাণু শক্তি উন্নয়নের পরিকল্পনায় নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
এই ঘটনায় পারমাণবিক প্রকল্পের সময়সীমা ও নিরাপত্তা প্রশ্নের মধ্যে এসেছে। বিমানবন্দর ও কার্গো পরিচালনায় যথাযথ সতর্কতা এবং দ্রুত তদন্ত অপরিহার্য হয়ে উঠেছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ক্ষতি এড়ানো যায়।
