
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তের বাসভবনে ঢুকে তাকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ ৪০০ পাতার চার্জশিট প্রস্তুত করেছে। গত ২০ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর সিভিল লাইন্সের বাসভবনে জনশুনানি চলাকালীন ঘটনাটি ঘটেছিল। সেখানে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, গুজরাতের রাজকোটের বাসিন্দা রাজেশভাই খিমজিভাই আচমকাই বাসভবনে ঢুকে কিছু কাগজপত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যায় এবং চিৎকার করে গালিগালাজ শুরু করে। পরে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চুল টেনে ধরে চড় মারে। আহত মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খিমজিভাই ও তার বন্ধু সৈয়দ তহসিন রাজ়ার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, জনপ্রতিনিধির কাজে বাধা, মারধরসহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছে এবং মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ৩০ অক্টোবর।
ঘটনার পেছনে একটি রাজনৈতিক কারণও জড়িত। সুপ্রিম কোর্টের ১১ অগস্টের নির্দেশে দিল্লির রাস্তা থেকে পথকুকুর সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে, এমন নির্দেশকে সমর্থন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চার্জশিট অনুযায়ী খিমজিভাই এই নির্দেশের সমর্থন পছন্দ না হওয়ায় রেগে গিয়ে হামলা চালায়।
পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই ঘটনার সব দিক যাচাই করছে। আগামী শুনানিতে মামলার বিস্তারিত তদন্ত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নতুন আলো ফেলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ও জনশুনানি চলাকালীন আইনশৃঙ্খলার গুরুত্ব আরও একবার প্রমাণিত হলো।
