
মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বন্ধুত্বের সম্পর্ক পরিণত হল রক্তাক্ত ঘটনায়। মায়ের সঙ্গে বন্ধুর ঘনিষ্ঠতার সন্দেহ থেকেই এক যুবক নিজের প্রাক্তন বন্ধুকে নির্মমভাবে খুন করেছে। শনিবার সকালে শ্যাম নগর মাল্টি এলাকায় উদ্ধার হয় ২৫ বছর বয়সি আশীষ নামে এক যুবকের দেহ। মাথা পাথর দিয়ে থেঁতলানো এবং গলা কাটা অবস্থায় মেলে মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভোপাল জুড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত রণজিৎ দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করছিল, আশীষ তার মায়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত। এই কারণে রণজিৎ আগেই আশীষকে সতর্ক করেছিল এবং তার বাড়ির আশেপাশে না আসার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার গভীর রাতে আশীষকে রণজিতের বাড়ির কাছেই দেখা যায়। রাগের মাথায় রণজিৎ তার দুই বন্ধু নিখিল ও বিনয়কে সঙ্গে নিয়ে আশীষের উপর আক্রমণ চালায়। প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলা কেটে দেওয়া হয়, পরে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আশীষের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তদন্তে নেমে পুলিশ দ্রুত তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে। রণজিৎ, নিখিল ও বিনয় তিনজনের বিরুদ্ধেই খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনাটির পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভোপালের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ও নিহত দুইজনেরই মধ্যে আগে গভীর বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত সন্দেহের জেরে সেই বন্ধুত্ব শেষ পর্যন্ত মৃত্যু ডেকে আনল। পুলিশ এখন ঘটনার পূর্ণ উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনা উন্মোচনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করল, অতি সন্দেহ ও রাগ মুহূর্তের মধ্যে মানুষকে কীভাবে অমানবিক করে তুলতে পারে।
