
সাত বছর পর আবার প্রশাসনে ফিরছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদের (এনকেডিএ) চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এই নিয়োগের পরই শোভনের সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা ঘিরে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে।
শোভনের ফেরা মানেই আলোচনায় আসছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ও, যিনি বর্তমানে বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক ও কাউন্সিলর। দলে গুঞ্জন, শোভন যদি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন, তবে বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে তাঁর সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু রত্না বেহালা পূর্বে বিধায়ক থাকায় পাশাপাশি দুই আসনে তাঁদের প্রার্থী করা দলীয় অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, রত্নাকে বেহালা পূর্ব থেকে সরিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় প্রার্থী করার পরিকল্পনা চলছে। এই আসনে বর্তমানে রয়েছেন রত্নার বাবা দুলাল দাস, যিনি বয়সজনিত কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে আসতে পারেন। ফলে রত্নাকে সেখানে প্রার্থী করে দল তাঁকে ‘পুনর্বাসন’ দিতে পারে।
দলীয় মহলে শোনা যাচ্ছে, রত্নার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক এখনও ভালো, তাই তাঁকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। অন্যদিকে, শোভনের রাজনীতিতে ফেরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতি নিয়েই হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে এই সমস্ত কিছুই এখন পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে। ভোটের সময় ঘনালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরই রত্না ও শোভনের ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হবে। আপাতত দুই বেহালা কেন্দ্র ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্ক জটিল হয়ে উঠছে তৃণমূলের অন্দরে।
