
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার রাজনৈতিক জীবন শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর পুত্র যশিন্দ্র সিদ্দারামাইয়া। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাঁর বাবার উচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বা মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যের ‘মার্গদর্শক’ বা পরামর্শদাতা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া।
গত দেড় বছরে সিদ্দারামাইয়ার অনুগামী বিধায়কেরা বহুবার তাঁকে সরিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে ডি কে শিবকুমারকে বেঙ্গালুরুর শীর্ষ পদে বসানোর দাবি তুলেছেন। এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুধু রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে নি, বরং দিল্লির কংগ্রেস হাইকমান্ডের দরবারেও বিষয়টি উত্তেজনা তৈরি করেছে।
সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ শিবরাম গৌড়া স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শিবকুমারই ভবিষ্যতে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তবে সময় কংগ্রেস হাইকমান্ডই ঠিক করবে। যদিও এর পরই সিদ্দারামাইয়া জানান, তিনি তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করবেন। এই প্রেক্ষাপটে যশিন্দ্রের বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন জল্পনা উস্কে দিয়েছে।
যশিন্দ্র বিশেষভাবে সতীশ জারকিহোলিকে তাঁর বাবার মার্গদর্শক হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। সতীশ নিজে শিবকুমারের বিরোধী হিসেবে পরিচিত। তার পরিবারও পূর্বে কংগ্রেসের সঙ্গে বিবাদে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতি রাজনৈতিক সমীকরণ আরও জটিল করছে।
কর্নাটকের রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর ভবিষ্যৎ এবং শিবকুমারের সম্ভাব্য উত্থান নিয়ে আলোচনা নতুন করে তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিতর্ক কংগ্রেসের ভেতরের শক্তি Santulan এবং রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। যশিন্দ্রের মন্তব্য শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়, বরং রাজ্য রাজনীতিতে একটি সূক্ষ্ম সংকেতও বয়ে আনছে।
এই প্রেক্ষাপটে সিদ্দারামাইয়ার রাজনৈতিক পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, যা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ এবং নির্বাচনী কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
