
মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক মঞ্চে ফের তৃণমূলের অন্দরে অশান্তির আগুন জ্বালালেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ভাইফোঁটার এক অনুষ্ঠানে তিনি দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি ক্ষোভ উগরে দেন। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ব্লক নেতৃত্বের পরিবর্তনের দাবি জানিয়েও সাড়া না পাওয়ায় তাঁর অসন্তোষ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি অভিযোগ করেন, জেলার বালি ঘাটে তোলাবাজি ও অনিয়ম চললেও তাতে প্রশাসন ও দল নির্বিকার। হুমায়ুনের মতে, সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের উপর এই অর্থনৈতিক শোষণ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
এরপরই তিনি আরও একধাপ এগিয়ে জানান, তাঁকে যদি দল থেকে বাদ দেওয়া হয়, তবে তিনি একা লড়াই করে দেখাবেন কার সঙ্গে মানুষ আছে। তাঁর এই বক্তব্যেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, তিনি কি তৃণমূল ছেড়ে অন্য কোনও পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিচ্ছেন? জেলার সংগঠনের কিছু নেতা–যাঁদের তিনি ‘চোর-ছ্যাঁচড়’ আখ্যা দিয়েছেন–তাঁদেরও তিনি পরোক্ষভাবে দলবদলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
হুমায়ুনের দাবি, ২০২১ সালের নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের সিংহভাগ আসনে তৃণমূল জিতেছিল তাঁর সক্রিয় ভূমিকার কারণেই। তাই তাঁকে অবমূল্যায়ন করা মানে গোটা জেলার শক্তি দুর্বল করা। দলের মধ্যে নেতৃত্বের বাছবিচার, আত্মীয়পোষণ ও গোষ্ঠী রাজনীতিতে তিনি ক্ষুব্ধ।
তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এখন এই পরিস্থিতিতে বেকায়দায়। হুমায়ুনের বক্তব্যে শুধু স্থানীয় সংগঠন নয়, রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও চাপ তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় কি না, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে। মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে নতুন অঙ্কের সূত্রপাত করল।
