
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আদালত শুনানি শেষ করলেও রায় এখনও সংরক্ষিত আছে। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত রায় ঘোষণা করবে। মামলাটির শুনানি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতির বেঞ্চে হয়েছে। বেঞ্চের প্রধান ছিলেন বিচারপতি মোহম্মদ গোলাম মর্তুজা। অন্য দুই বিচারপতি হলেন মোহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ ও মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলায় হাসিনার সঙ্গে আরও দুইজন অভিযুক্ত। তারা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের প্রাক্তন আইডি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। মামুন নিজের দোষ স্বীকার করেছেন এবং রাজসাক্ষী হয়েছেন। ফলে রায় ঘোষণার ক্ষেত্রে শুধু হাসিনা ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিষয়টি নির্ধারণ বাকি। শুনানিতে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মোহম্মদ আসাদুজ্জামান মৃত্যু দণ্ডের দাবি জানান। হাসিনা ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে আইনজীবী আমির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের খালাসের জন্য যুক্তি উপস্থাপন করেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সরকার জনবিক্ষোভের কারণে পতিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশের বাইরে চলে যান। সঙ্গে ছিলেন তার বোন রেহানা। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তিনি হিন্দন বায়ুসেনাঘাঁটি হয়ে ইংল্যান্ডসহ একাধিক দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। কোনো দেশই রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি। বর্তমানে তিনি গোপন ডেরায় রয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার একাধিকবার তাকে ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। ভারতের পক্ষ চিঠি গ্রহণের কথা স্বীকার করলেও এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।
শুনানি শেষ হওয়ায় সব নজর এখন রায়ের দিকে। ১৩ নভেম্বর আদালত রায় ঘোষণা করবে এবং তখনই জানা যাবে শেখ হাসিনা ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাগ্য। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল ঘটনা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
