
দেওয়ালির পর থেকেই দিল্লির বাতাসে ফের শুরু হয়েছে দূষণের নাভিশ্বাস। রাজধানীর বায়ু মান সূচক টানা কয়েকদিন ধরেই “অতি মন্দ” স্তরে ছিল। শুক্রবার দূষণ কিছুটা কমে সূচক দাঁড়িয়েছে ২৯৩-এ, যা এখনও বিপদসীমার কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার ঘোষণা করেছে, বায়ুদূষণ রোধে এবার কৃত্রিম মেঘসঞ্চারের মাধ্যমে বৃষ্টি ঘটানো হবে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
রাজধানী ও সংলগ্ন এনসিআর এলাকায় কৃত্রিম মেঘ তৈরি করে বৃষ্টি নামানোর প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লি সরকার আইআইটি কানপুরের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, যার অধীনে পাঁচটি কৃত্রিম মেঘসঞ্চার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আইআইটি কানপুরের বিশেষ বিমান ব্যবহার করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। ওই বিমানে বৃষ্টিসৃষ্টিকারী রাসায়নিক উপাদান সংরক্ষিত রয়েছে, যা মেঘে ছড়িয়ে দিলে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২৯ অক্টোবর দিল্লির আবহাওয়া কৃত্রিম মেঘসঞ্চারের জন্য উপযুক্ত থাকবে। সফলভাবে বৃষ্টি হলে বাতাসের ক্ষতিকর ধূলিকণা ও দূষণ অনেকটাই ধুয়ে যাবে, ফলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভোগা মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবেন।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সূচক অনুযায়ী, ০ থেকে ৫০ পর্যন্ত ‘উত্তম’ ও ৩০১ থেকে ৪০০ ‘অতি মন্দ’ স্তর হিসেবে ধরা হয়। বর্তমানে দিল্লি সেই সীমার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই কৃত্রিম বৃষ্টি রাজধানীর দূষণ রোধে এক নতুন ও বৈজ্ঞানিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সরকার আশা করছে, এই উদ্যোগ সফল হলে ভবিষ্যতেও শীতকালীন দূষণ নিয়ন্ত্রণে এটি কার্যকর মডেল হয়ে উঠবে।
