
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পলাতক আসামিরা ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না। মোঃ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সংশোধনের মাধ্যমে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। লক্ষ্য মূলত শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের আত্মগোপনকারী নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ আটকানো। আদালতের তলবেও যারা হাজির হননি, তাদেরকে পলাতক হিসেবে গণ্য করা হবে।
শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য বিদেশে আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলার অভিযোগ রয়েছে। সাবেক শাসকদলের কিছু নেতা বর্তমানে কারাগারে থাকলেও তারা চাইলে নির্বাচন লড়তে পারবেন। তবে পলাতক অবস্থায় থাকা নেতা ও সমর্থকরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের দাবি, তারা কৌশলগত কারণে নিরাপত্তার জন্য আত্মগোপনে রয়েছেন।
অর্ডিন্যান্স জারির ফলে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা দলবদল করে অন্য কোনো পার্টির হয়ে নির্বাচন করতে পারবে না। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারবে না। এর ফলে দলের ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এটি দলকে অটুট রাখার একটি কৌশল। তবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের প্রায় হাজার দুয়েক নেতা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। দেশে আত্মগোপনে থাকা লক্ষাধিক কর্মীর ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপ দলকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি প্রতিকূল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। পলাতক নেতাদের ভোটে অংশগ্রহণ বন্ধের সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের জন্য একদিকে ক্ষতির, অন্যদিকে কিছু সুবিধার কারণ হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ দলকে বিচ্ছিন্ন হওয়া থেকে রক্ষা করবে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাদের সীমিত অংশগ্রহণ দলকে শক্ত অবস্থানে রাখার পাশাপাশি আইনগত ও নিরাপত্তার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
