
ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। নিজের জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের নীতি এবং কিছু পদক্ষেপকে তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। হুমায়ুন দাবি করেন যে জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারির নেপথ্যে কিছু প্রভাবশালী সদস্যের হাত রয়েছে এবং এমন ঘটনা দলের ভিতরে অশান্তি তৈরি করছে।
তাঁর চলমান অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হলো দলের কিছু পদে থাকা নেতাদের অসম্মান। ভরতপুরের বিধায়ক ডেবরার হুমায়ুনকে নিয়ে কথাও তুলেছেন। তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরীণভাবে দুজন হুমায়ুনকে প্রায়ই অবহেলা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, বিধানসভার লবি, হুমায়ুনের বাড়ি এবং ফোনে নিয়মিত তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়। তিনি সতর্ক করে দেন, যদি দল তাদের গুরুত্বহীন করে রাখে, তাহলে তিনি আর কোনো অবস্থায় নীরব থাকবেন না।
হুমায়ুন আরও ইঙ্গিত দেন, প্রয়োজনে তিনি দলের শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে সিট অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন যে ২০২৪ সালে অধীর চৌধুরীকে হারিয়েছিলেন এবং এখন পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। তাঁর এই মন্তব্য দলের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে এবং শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
দলের অভ্যন্তরীণ এই উত্তেজনার প্রেক্ষিতে শোনা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ভরতপুরের হুমায়ুনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হুমায়ুন কবীরের অবস্থান এবং তাঁর বিদ্রোহী বার্তা দলের ভেতরের সমীকরণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
এই পরিস্থিতি দেখিয়ে দিচ্ছে, দলের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ এবং নেতাদের অসন্তোষ কেবল স্থানীয় স্তরে নয়, রাজ্যের রাজনৈতিক দিকেও প্রভাব ফেলছে। হুমায়ুনের এই পদক্ষেপ এবং দলীয় নেতাদের প্রতিক্রিয়া রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন আলোচনা এবং উত্তেজনার জন্ম দিচ্ছে।
