
ভারত সরকার চাল রফতানি বাড়ানোর জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০-৩১ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল রাইস কনফারেন্স (BIRC) ২০২৫-এর মাধ্যমে ভারত ২৬টি দেশের সঙ্গে চাল রফতানি কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবে। এই দেশগুলোর মধ্যে জাপান, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরব উল্লেখযোগ্য। ভারতের লক্ষ্য এসব দেশে নির্দিষ্ট ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) সহ চাল রফতানি করা।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের মতে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ১.৮ ট্রিলিয়ন টাকার চাল আমদানি প্রতিস্থাপন সম্ভব হবে। বিশেষভাবে পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী বাজারে ভারতের প্রবেশ পাকিস্তানের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। কারণ পাকিস্তান ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক সঙ্কটে রয়েছে, আর ভারতের এ উদ্যোগ তাদের বাজারে প্রভাব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
BIRC ২০২৫-এ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (APEDA) একটি AI ভিত্তিক নতুন মেশিনও প্রদর্শন করবে, যা ধানের অপচয় কমিয়ে সাদা চালের ক্ষতি ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য রাখছে। একই সঙ্গে, কনফারেন্সে ২৫,০০০ কোটি টাকার রফতানি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারত বিশ্বের প্রধান চাল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে প্রতি বছর প্রায় ৪৭ মিলিয়ন হেক্টর জমি থেকে ১৫ কোটি টন চাল উৎপাদন করে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দেশের চাল রফতানি ছিল ২০.১ মিলিয়ন টন, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২.৯৫ বিলিয়ন ডলার। কনফারেন্সে অংশ নেবে প্রায় ৩,০০০ কৃষক, কৃষক উৎপাদক সংস্থা এবং ৮০টির বেশি দেশের ১,০০০-এরও বেশি বিদেশি ক্রেতা।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত কেবল আন্তর্জাতিক বাজারে আধিপত্য স্থাপন করবে না, একই সঙ্গে দেশের কৃষি খাতকেও আরও শক্তিশালী করবে। পাকিস্তানের জন্য এটি আরও চাপ তৈরি করবে এবং অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
