
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় ঘোষণা করা হয়নি। মামলার স্ট্যাটাস “Heard and Reserved” হিসেবে রয়েছে। সম্প্রতি দীপাবলির ছুটি শেষ হয়ে কোর্ট সোমবার থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে। সরকারি কর্মীদের মধ্যে উত্সাহের পাশাপাশি অপেক্ষা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আগে অনুমান করা হচ্ছিল দীপাবলির আগে রায় ঘোষণা হতে পারে, তবে সুপ্রিম কোর্টের ছুটি এবং নানা কারিগরি বিষয় রায়ের প্রকাশকে সামান্য পিছিয়ে দিয়েছে। শুনানি চলাকালে কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, মামলাকারী ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সব রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই নির্দেশনার পর রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মী সংগঠন রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
অক্টোবরের প্রথম দিকে খবর পাওয়া গিয়েছিল, মামলাকারী ও রাজ্য সরকারের পেশকৃত রিপোর্টের খতিয়ান প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে। এই প্রক্রিয়ার সমাপ্তির পরই রায় ঘোষণার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নানা সূত্রের খবর অনুযায়ী, নভেম্বরের মধ্যে ডিএ মামলার রায় বের হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট ডিসেম্বরের ২২ থেকে জানুয়ারির ১ পর্যন্ত বন্ধ থাকায় সেই সময়ের মধ্যে রায় পাওয়া সম্ভব নয়।
সরকারি কর্মীরা রায় ঘোষণা নিয়ে আশাবাদী। অনেকেই মনে করছেন, বছরের শেষের দিকে বা নভেম্বরের শুরুতেই রায় প্রকাশ হতে পারে। এই রায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, কারণ এটি তাদের মাসিক আয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। আপাতত, সরকারি কর্মীরা রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতীক্ষায় রয়েছেন।
ডিএ মামলার রায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের আর্থিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে এটি ভবিষ্যতের বেতন কাঠামো ও ভাতা সংশোধনের জন্যও দিকনির্দেশনা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও কৌতূহল উভয়ই প্রবল।
