
বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপ ক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবারের মধ্যেই এই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে, যার নাম হবে ‘মান্থা’। বর্তমানে এটি আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং তামিলনাড়ু থেকে ৭৯০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছে। গত ৬ ঘণ্টায় এটি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর এই ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল রূপ নেবে। অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম ও কাকিনাড়ার কাছে কলিঙ্গপত্তনমের উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, দমকা হাওয়ার বেগ ১১০ কিলোমিটার পার করার আশঙ্কা।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গেও। হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতাতেও মঙ্গলবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ আগেই নির্ধারিত থাকে। এবার ‘মান্থা’ নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড, যার অর্থ সুন্দর সুগন্ধী ফুল। বর্তমানে উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায়।
